আইনি পথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনা নেই। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি কারান্তরীণ। প্রায় এক বছর ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন। আইনিপথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য চেষ্টা করে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নাকোচ করে দিয়েছেন। এরফলে আইনি পথে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনা নেই।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, আইনি পথে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়া হলে বিএনপি একদফা আন্দোলন শুরু করবে। বিএনপির একদফা আন্দোলন তো দূরের কথা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কোন আন্দোলনই করতে পারেনি দলটি। এখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ হলো প্যারোলের মাধ্যমে। সে ব্যাপারে এখন পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম কুশীলব খন্দকার মাহবুব হোসেন এ ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, বিশেষ বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তার কথার জবাব দিতে দেরি করেননি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেছেন যে, ‘আগে তারা আবেদন করুক তারপর দেখা যাবে।’ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির তিনটি পথ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো; ৪০১ ধারায় তার দণ্ড কমানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন। অথবা তিনি ক্ষমা প্রার্থণা করে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া তিনি প্যারোলের আবেদন করতে পারবেন। আইনমন্ত্রী বলেন, দণ্ড হ্রাস এবং ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন রাষ্ট্রিপতির কাছে করলেও সেটা আমার কাছে আসবে। আর এটা আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করবো। কিন্তু ক্ষমা প্রার্থনা এবং দণ্ড মার্জনার জন্য আবেদন করলে তার দোষ স্বীকার করে নিতে হবে। আর এখানেই বিএনপির আপত্তি।
বিএনপির এক নেতা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া তো কোনো অন্যায় করেননি। তাই অন্যায় স্বীকার করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
অন্যদিকে বিএনপির কোনো কোনো আইনজীবী মনে করছেন কৌশলগত কারণে এখন খালেদা জিয়ার দোষ স্বীকার করে মার্জনা প্রার্থনা বা দণ্ড হ্রাসের আবেদন করা উচিত। তাহলেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হতে পারে।
তবে বিএনপির আইনজীবীর অন্য একটি অংশ মনে করছে, বিশেষ বিবেচনা বলতে তারা বুঝিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি। যেহেতু শারীরিক ভাবে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। কাজেই এই অসুস্থতার জন্য তার প্যারোলের প্রয়োজন।
তবে আইনমন্ত্রী অ্যাকভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্যারোলের আবেদন বিবেচনা করার এখতিয়ার আইন মন্ত্রণালয়ের নেই। তাই সেটি আমার এখতিয়ার ভুক্ত বিষয় না। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ের বিষয় বলেও আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ে যদি আবেদন করা হয় তাহলে সেখানের দণ্ড স্বীকার করে নিতে হবে। দণ্ড স্বীকার করে প্যারোলের আবেদন করলে আপিলের ক্ষেত্রে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে বেগম জিয়ার অনেক আইনজীবী মনে করছেন।
তবে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের থেকে এখন খালেদা জিয়ার প্যারোল হোক বা বিশেষ বিবেচনা হোক যেভাবেই হোক তার মুক্তিটি অত্যন্ত প্রয়োজন। যেভাবে হোক, তাঁর মুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার বিএনপি নেতৃবৃন্দদের বলেছে, যেকোন মূল্যে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
একারণেই সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারটি আদালতের বিষয় আর আদালতের বাইরে সরকার কেবলমাত্র দোষ স্বীকার করা এবং দণ্ড হ্রাসের আবেদন বিবেচনা করতে পারে। সেরকম আবেদন বেগম খালেদা জিয়া করবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এখন বেশ উন্নতি হয়েছে। তিনি নিয়মিত সব ধরনের চিকিৎসাও নিচ্ছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, আইনি পথে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেওয়া হলে বিএনপি একদফা আন্দোলন শুরু করবে। বিএনপির একদফা আন্দোলন তো দূরের কথা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কোন আন্দোলনই করতে পারেনি দলটি। এখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির একমাত্র পথ হলো প্যারোলের মাধ্যমে। সে ব্যাপারে এখন পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছেন। গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম কুশীলব খন্দকার মাহবুব হোসেন এ ব্যাপারে ইঙ্গিত করেছেন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন যে, বিশেষ বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দেওয়া হতে পারে। তার কথার জবাব দিতে দেরি করেননি আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেছেন যে, ‘আগে তারা আবেদন করুক তারপর দেখা যাবে।’ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির তিনটি পথ রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো; ৪০১ ধারায় তার দণ্ড কমানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন। অথবা তিনি ক্ষমা প্রার্থণা করে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া তিনি প্যারোলের আবেদন করতে পারবেন। আইনমন্ত্রী বলেন, দণ্ড হ্রাস এবং ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন রাষ্ট্রিপতির কাছে করলেও সেটা আমার কাছে আসবে। আর এটা আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণ করবো। কিন্তু ক্ষমা প্রার্থনা এবং দণ্ড মার্জনার জন্য আবেদন করলে তার দোষ স্বীকার করে নিতে হবে। আর এখানেই বিএনপির আপত্তি।
বিএনপির এক নেতা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া তো কোনো অন্যায় করেননি। তাই অন্যায় স্বীকার করার কোনো প্রশ্নই আসে না।
অন্যদিকে বিএনপির কোনো কোনো আইনজীবী মনে করছেন কৌশলগত কারণে এখন খালেদা জিয়ার দোষ স্বীকার করে মার্জনা প্রার্থনা বা দণ্ড হ্রাসের আবেদন করা উচিত। তাহলেই খালেদা জিয়ার মুক্তি হতে পারে।
তবে বিএনপির আইনজীবীর অন্য একটি অংশ মনে করছে, বিশেষ বিবেচনা বলতে তারা বুঝিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি। যেহেতু শারীরিক ভাবে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। কাজেই এই অসুস্থতার জন্য তার প্যারোলের প্রয়োজন।
তবে আইনমন্ত্রী অ্যাকভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্যারোলের আবেদন বিবেচনা করার এখতিয়ার আইন মন্ত্রণালয়ের নেই। তাই সেটি আমার এখতিয়ার ভুক্ত বিষয় না। এটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ের বিষয় বলেও আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রাণালয়ে যদি আবেদন করা হয় তাহলে সেখানের দণ্ড স্বীকার করে নিতে হবে। দণ্ড স্বীকার করে প্যারোলের আবেদন করলে আপিলের ক্ষেত্রে তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে বেগম জিয়ার অনেক আইনজীবী মনে করছেন।
তবে বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের থেকে এখন খালেদা জিয়ার প্যারোল হোক বা বিশেষ বিবেচনা হোক যেভাবেই হোক তার মুক্তিটি অত্যন্ত প্রয়োজন। যেভাবে হোক, তাঁর মুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার বিএনপি নেতৃবৃন্দদের বলেছে, যেকোন মূল্যে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
একারণেই সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারটি আদালতের বিষয় আর আদালতের বাইরে সরকার কেবলমাত্র দোষ স্বীকার করা এবং দণ্ড হ্রাসের আবেদন বিবেচনা করতে পারে। সেরকম আবেদন বেগম খালেদা জিয়া করবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এখন বেশ উন্নতি হয়েছে। তিনি নিয়মিত সব ধরনের চিকিৎসাও নিচ্ছেন।
COMMENTS