বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপ, যুদ্ধের হুমকি কিংবা কূটনৈতিক মারপ্যাঁচ- কোনো ফন্দি এঁটেই দমিয়ে রাখা যাচ্ছিল না চীনকে। যুক্তরাষ্ট্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য হাতের মুঠোয় পুড়ে নিয়েছিল চীনারা। বাণিজ্য ক্ষেত্রে বেইজিংয়ের এই একাধিপত্যের ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব হম্বিতম্বি চীনের কাছে এসে কেমন যেন মিলিয়ে যাচ্ছিল। বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলা সেই চীন আজ করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্রকে কোণঠাসা করে দেওয়া দেশটি আজ নিজেই ‘একঘরে’ হবার উপক্রম। ২০১৮-১৯ জুড়ে চলা বাণিজ্য যুদ্ধ যেই দেশটির অর্থনীতিতে খুব বড় কোনো ক্ষতি করতে পারেনি, সেই দেশটির অর্থনীতিই আজ করোনাভাইরাসের কাছে কুপোকাত! ইউরোপ, আমেরিকা এমনকি এশিয়া, আফ্রিকার দেশগুলোও চীনের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ করে দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করেই বলছে যে, করোনাভাইরাস বিপজ্জনক, তবে সেটা সার্স বা মার্সের মতো নয়। তাছাড়া করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার মাত্র ২ শতাংশ। তাহলে এই ভাইরাসটির কারণে কেন একঘরে করে ফেলা হচ্ছে চীনকে? করোনা কি কেবলই একটি ভাইরাস, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র? ষড়যন্ত্রতত্ত্বের বিষয়টি অনেকের কাছে হাস্যকর মনে পারে। কিন্তু চীনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং শক্তিধর কিছু দেশের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করলে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়ার উপায় থাকছে না।
চীনের দিকেই আঙুল তোলা
করোনা জেঁকে বসার শুরুর দিকে ইসরায়েলের সাবেক সামরিক গবেষক ড্যানি শোহাম চীনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি দাবি করেন, উহান শহরের এক গবেষণাগার থেকে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তার দাবি, ওই গবেষণাগারে গোপনে জৈব রাসায়নিক অস্ত্র বানায় বেইজিং। শেহামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও গলা মেলায়। আরেকটু পেছনে ফিরলে দেখা যাবে, বছরখানেক আগেও এই শেহাম এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলে অভিযোগ করেছিল যে, চীন উহানে জৈব অস্ত্র বানাচ্ছে। আর এবার তারা সেই দাবি রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের একমাত্র ‘পাথোজেন লেভেল ৪’ চিহ্নিত গবেষণাগারটি হলো উহানের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট। এর মানে হচ্ছে এই ইনস্টিটিউটে গবেষণা করা অণুজীব যেন না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা তাদের আছে। এ জন্যই প্রশ্ন জাগে, তবে কি যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলই ভাইরাস ছড়িয়ে আঙুলটি ঘুরিয়ে দিচ্ছে চীনের দিকে? এটা কারোরই অজানা নয় যে, বিশ্বের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এজেন্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার দোসর ইসরায়েল খুব ভালো করেই জানে যে, চীনকে কোনো যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে কাবু করা যাবে না। কারণ সামরিক ক্ষেত্রে চীন এতটাই এগিয়ে গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রকে কাঁপিয়ে দিতে তাদের খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। সে জন্য যুদ্ধের পথে না হেঁটে ভাইরাসকেই কি বেছে নিয়েছে সুচতুর যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল?
কেন্দ্রস্থল যখন উহান
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। এই উহান এলাকাটি চীনের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অটোমোবাইল বা গাড়ি নির্মাণশিল্প। নিসান, হোন্ডা ও জেনারেল মোটরসের কারখানা আছে উহানে। এছাড়া চীনের রপ্তানীযোগ্য পণ্যের কয়েক হাজার কারখানা আছে এই উহানে। করোনার ফলে সব কারখানাই বন্ধ হয়ে গেছে।
জিডিপির যোগানদাতা হুবেই
করোনাভাইরাসের কারণে হুবেই প্রদেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ এখন অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। খাদ্যবাহী ট্রাক ও চিকিৎসাসামগ্রী ছাড়া আর কিছুই এখন ওই এলাকায় ঢুকতে পারছে না। অঞ্চলটির বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে চালু আছে কেবল হাসপাতাল সেবা ও ভিডিওস্ট্রিমিং। বাকি সব আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। চীনের জিডিপির সাড়ে ৪ শতাংশ আসে হুবেই থেকে। ফলে হুবেই স্থবির থাকার অর্থ হলো চীনের সার্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া।
প্রবৃদ্ধির ভয়াবহ পতন
করোনার তাণ্ডবে তিমধ্যেই চীনের ৬২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের আগে যেটা ছিল ৬ শতাংশ।
থমকে গেছে ব্যবসা বাণিজ্য
করোনাভাইরাস এমন সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যখন চীনে চলে এসেছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার সময়। নতুন রোগের কারণে এই উৎসব ঘিরে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে থমকে গেছে। গত বছর এই সময়টায় চীনের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। এবার সেটা অর্ধেকে নেমে এসেছে। স্টারবাকস পুরো চীনে ছড়িয়ে থাকা তাদের ৪ হাজার ২৯২টি ক্যাফের প্রায় অর্ধেক বন্ধ করে দিয়েছে। সাংহাইতে নিজেদের রিসোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে ডিজনি।
সিনেমা শিল্পেও ধস
নতুন বছরের ছুটির সময়টাতেই চীনের সিনেমাশিল্প সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে। পুরো বছরের মোট আয়ের ৯ শতাংশ গত বছরের এই সময়টায় আয় করেছিল চীনের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু এবার একই সময়ে চীনের প্রায় ১১ হাজার সিনেমা হল করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
চীনের বিকল্প খুঁজতে বাধ্য করা
যুক্তরাষ্ট্র সব বহু বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল যে পশিমা কোম্পানিগুলো যেন চীনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু কিছুতেই সফল হচ্ছিল না তারা। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮-১৯ এর বাণিজ্যযুদ্ধের সময় অনেক পশ্চিমা কোম্পানি চীনের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিন তাদের আশ্বস্ত করতে পেরেছিল। এবার করোনাভাইরাসের কারণে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা আবারও চীনের বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করেই বলছে যে, করোনার কারণে চীনকে একঘরে করে ফেলার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু তবুও যুক্তরাষ্ট্রসহ একের পর এক দেশ চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন গুজবও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যেন সবার মধ্যে একটা চীনভীতি তৈরি হয়। চীনের এই সংকটের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে নাকি নেই সেটা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু চীনকে একঘরে করে যুক্তরাষ্ট্র যে লাভবান হয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। চীন এই সংকট থেকে কত দ্রুত বের হয়ে আসতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
চীনের দিকেই আঙুল তোলা
করোনা জেঁকে বসার শুরুর দিকে ইসরায়েলের সাবেক সামরিক গবেষক ড্যানি শোহাম চীনের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি দাবি করেন, উহান শহরের এক গবেষণাগার থেকে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। তার দাবি, ওই গবেষণাগারে গোপনে জৈব রাসায়নিক অস্ত্র বানায় বেইজিং। শেহামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও গলা মেলায়। আরেকটু পেছনে ফিরলে দেখা যাবে, বছরখানেক আগেও এই শেহাম এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলে অভিযোগ করেছিল যে, চীন উহানে জৈব অস্ত্র বানাচ্ছে। আর এবার তারা সেই দাবি রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের একমাত্র ‘পাথোজেন লেভেল ৪’ চিহ্নিত গবেষণাগারটি হলো উহানের ভাইরোলজি ইনস্টিটিউট। এর মানে হচ্ছে এই ইনস্টিটিউটে গবেষণা করা অণুজীব যেন না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা তাদের আছে। এ জন্যই প্রশ্ন জাগে, তবে কি যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলই ভাইরাস ছড়িয়ে আঙুলটি ঘুরিয়ে দিচ্ছে চীনের দিকে? এটা কারোরই অজানা নয় যে, বিশ্বের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এজেন্ট নেই। যুক্তরাষ্ট্র এবং তার দোসর ইসরায়েল খুব ভালো করেই জানে যে, চীনকে কোনো যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে কাবু করা যাবে না। কারণ সামরিক ক্ষেত্রে চীন এতটাই এগিয়ে গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রকে কাঁপিয়ে দিতে তাদের খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। সে জন্য যুদ্ধের পথে না হেঁটে ভাইরাসকেই কি বেছে নিয়েছে সুচতুর যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল?
কেন্দ্রস্থল যখন উহান
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। এই উহান এলাকাটি চীনের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ হিসেবে পরিচিত। এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অটোমোবাইল বা গাড়ি নির্মাণশিল্প। নিসান, হোন্ডা ও জেনারেল মোটরসের কারখানা আছে উহানে। এছাড়া চীনের রপ্তানীযোগ্য পণ্যের কয়েক হাজার কারখানা আছে এই উহানে। করোনার ফলে সব কারখানাই বন্ধ হয়ে গেছে।
জিডিপির যোগানদাতা হুবেই
করোনাভাইরাসের কারণে হুবেই প্রদেশের প্রায় ৬ কোটি মানুষ এখন অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। খাদ্যবাহী ট্রাক ও চিকিৎসাসামগ্রী ছাড়া আর কিছুই এখন ওই এলাকায় ঢুকতে পারছে না। অঞ্চলটির বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে চালু আছে কেবল হাসপাতাল সেবা ও ভিডিওস্ট্রিমিং। বাকি সব আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়েছে। চীনের জিডিপির সাড়ে ৪ শতাংশ আসে হুবেই থেকে। ফলে হুবেই স্থবির থাকার অর্থ হলো চীনের সার্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া।
প্রবৃদ্ধির ভয়াবহ পতন
করোনার তাণ্ডবে তিমধ্যেই চীনের ৬২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের আগে যেটা ছিল ৬ শতাংশ।
থমকে গেছে ব্যবসা বাণিজ্য
করোনাভাইরাস এমন সময়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যখন চীনে চলে এসেছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার সময়। নতুন রোগের কারণে এই উৎসব ঘিরে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে থমকে গেছে। গত বছর এই সময়টায় চীনের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। এবার সেটা অর্ধেকে নেমে এসেছে। স্টারবাকস পুরো চীনে ছড়িয়ে থাকা তাদের ৪ হাজার ২৯২টি ক্যাফের প্রায় অর্ধেক বন্ধ করে দিয়েছে। সাংহাইতে নিজেদের রিসোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে ডিজনি।
সিনেমা শিল্পেও ধস
নতুন বছরের ছুটির সময়টাতেই চীনের সিনেমাশিল্প সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে। পুরো বছরের মোট আয়ের ৯ শতাংশ গত বছরের এই সময়টায় আয় করেছিল চীনের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু এবার একই সময়ে চীনের প্রায় ১১ হাজার সিনেমা হল করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
চীনের বিকল্প খুঁজতে বাধ্য করা
যুক্তরাষ্ট্র সব বহু বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল যে পশিমা কোম্পানিগুলো যেন চীনের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু কিছুতেই সফল হচ্ছিল না তারা। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮-১৯ এর বাণিজ্যযুদ্ধের সময় অনেক পশ্চিমা কোম্পানি চীনের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চিন তাদের আশ্বস্ত করতে পেরেছিল। এবার করোনাভাইরাসের কারণে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা আবারও চীনের বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করেই বলছে যে, করোনার কারণে চীনকে একঘরে করে ফেলার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু তবুও যুক্তরাষ্ট্রসহ একের পর এক দেশ চীনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন গুজবও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যেন সবার মধ্যে একটা চীনভীতি তৈরি হয়। চীনের এই সংকটের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে নাকি নেই সেটা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু চীনকে একঘরে করে যুক্তরাষ্ট্র যে লাভবান হয়েছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। চীন এই সংকট থেকে কত দ্রুত বের হয়ে আসতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
COMMENTS