গাজীপুর জেলায় রবিবার পর্যন্ত মোট ২৩ জন করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। জেলায় করোনায় আক্রান্ত ২৩ জনের মধ্যে ৯ জন কাপাসিয়া উপজেলার বাসিন্দা, ৯ জন গাজীপুর সদর ও মহানগর এলাকার বাসিন্দা, ৫ জন কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া জেলা গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মধ্যে ২৫৮৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। একারণে সিভিল সার্জনসহ তার কার্যালয়ের ১৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রবিবার হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন মোঃ খায়রুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ঠান্ডা ও জ্বরের উপসর্গ থাকায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক নৈশ প্রহরীকে তার গ্রামের বাড়ি কাপাসিয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ না থাকায় বুধবার তিনি অফিসে ফিরে আসেন। পরে তার দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হতে শুক্রবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার পাঠানোর পর শনিবার তার ওই নমুনা রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সিভিল সার্জন এবং তার অফিসের ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট, জেলা সেনিটারি ইন্সপেক্টর (ডিএসআই) ও প্রধান অফিস সহকারি (ইউডিএ) সহ ১৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তিনি সরকারি বাসাতে কোয়ারেন্টিনে থেকেই কাজ করছেন। এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হতে তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সবাই সুস্থ্য আছেন।
এদিকে, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুর জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম তরিকুল ইসলাম গাজীপুর জেলাকে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ ঝুকি মোকাবেলায় ও জরুরী সুরক্ষার প্রয়োজনে দেশের অভ্যন্তরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলায় জন সাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১১ এপ্রিল ২০২০ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাজীপুর জেলাকে অবরুদ্ধ (লক ডাউন) ঘোষণা করা হলো।
গণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিন্ন জেলা হতে পাশবর্তী জেলায় গমণের উদ্দেশ্যে ট্রানজিট হিসেবে জাতীয় মহাসড়ক ব্যবহার ব্যতীত জেলা-উপজেলার যে কোন সীমানা দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। নৌপথেও এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এই সময়ে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জমায়েত, গণপরিবহন এবং দিন রাতে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য ও খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ, সংগ্রহ, উৎপাদন ও পরিবহন ইত্যাদি এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া জেলা গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মধ্যে ২৫৮৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মী রয়েছে। একারণে সিভিল সার্জনসহ তার কার্যালয়ের ১৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রবিবার হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন মোঃ খায়রুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ঠান্ডা ও জ্বরের উপসর্গ থাকায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এক নৈশ প্রহরীকে তার গ্রামের বাড়ি কাপাসিয়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ না থাকায় বুধবার তিনি অফিসে ফিরে আসেন। পরে তার দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হতে শুক্রবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার পাঠানোর পর শনিবার তার ওই নমুনা রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সিভিল সার্জন এবং তার অফিসের ইপিআই সুপারিন্টেনডেন্ট, জেলা সেনিটারি ইন্সপেক্টর (ডিএসআই) ও প্রধান অফিস সহকারি (ইউডিএ) সহ ১৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তিনি সরকারি বাসাতে কোয়ারেন্টিনে থেকেই কাজ করছেন। এ ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হতে তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সবাই সুস্থ্য আছেন।
এদিকে, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ ঠেকাতে গাজীপুর জেলাকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম তরিকুল ইসলাম গাজীপুর জেলাকে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ ঝুকি মোকাবেলায় ও জরুরী সুরক্ষার প্রয়োজনে দেশের অভ্যন্তরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলায় জন সাধারণের প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১১ এপ্রিল ২০২০ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাজীপুর জেলাকে অবরুদ্ধ (লক ডাউন) ঘোষণা করা হলো।
গণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিন্ন জেলা হতে পাশবর্তী জেলায় গমণের উদ্দেশ্যে ট্রানজিট হিসেবে জাতীয় মহাসড়ক ব্যবহার ব্যতীত জেলা-উপজেলার যে কোন সীমানা দিয়ে প্রবেশ ও প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। নৌপথেও এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এই সময়ে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, জমায়েত, গণপরিবহন এবং দিন রাতে জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য ও খাদ্য দ্রব্য সরবরাহ, সংগ্রহ, উৎপাদন ও পরিবহন ইত্যাদি এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
জনস্বার্থে জারীকৃত এ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
COMMENTS