করোনা ভাইরাস মহামারী এড়াতে গাজীপুরবাসীকে ১৫দিন ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেছেন, ২২ লাখ শ্রমিক গাজীপুরে ঢুকে গেছে। রিকশাভ্যান, অটোচালক দিনমজুর, খোলা বাজারে ব্যবসা করে ভাসমান আরও আড়াই লাখ। দুইশ’ বেশি বস্তি আছে। সব মিলিয়ে আমরা কঠিন সময় পার করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পূবাইলের মীরের বাজার চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিসের সামনে পূবাইলের ৪ টি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের কারণে গৃহবন্দী দুস্থ গরিবদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর-৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি।
সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সারা দুনিয়ায় এখনও করোনার কোনো ওষুধ নাই। গাজীপুরে সব মিলিয়ে মাত্র আটটি অক্সিজেন মেশিন আছে। আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া আমাদের সামনে কোনো উপায় নেই। দুর্ভিক্ষ এড়াতে সবাই দয়া করে ১৫ দিন ঘরে বন্দি থেকে নিয়ম মানেন। নইলে মাসের পর মাস দুর্ভিক্ষে কাটাতে হবে। তখন কেউ খাবার ঘরে দিয়ে যাবে না।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ। নিজের সন্তান,নিজের বাবা-মা, নিজের চোখের সামনে মরবে কিছু করার থাকবে না, চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া। কেউ না খাইয়া মরে না মরে রোগে।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে সচেতন হওয়া প্রসঙ্গে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম দুঃখ করে বলেন, দেশের ৮০ ভাগ মানুষের কোনো ধারণা নাই করোনা ভাইরাস কী? করোনা হাত দিয়া ধইরা দেখার ইচ্ছাও করে অনেকের। আমরা একজন আরেক জনের গায়ের উপর উঠে বসে পড়ি। এক ঘরে করোনা আক্রান্ত হলে ওই মহল্লা ওই গ্রাম সাফ হয়ে যাবে। আমরা রাজা বাদশা মন্ত্রী এমপি যা-ই হই না কেন আমাদের কিছু করার থাকবে না।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রবল শক্তিশালী ক্ষমতাধর শাসকেরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের ওয়ার্ড ভালো থাকলে সিটি ভালো থাকবে। সিটি ভালো থাকলে জেলা ভালো থাকবে,জেলা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। সুন্দর একটা বাংলাদেশ দেখার আশায় বুক বেঁধে আছি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনা মোকাবেলা করার বাস্তবে আমাদের দেশে কিছু নাই।মাইকে আমরা ভালোই বলি। নিজে নিজের পরিবার দেশের মানুষকে বাঁচাতে নিয়ম মেনে ঘরে থাকতে হবে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য ২ এপ্রিল গাজীপুর সিটির কোনাবাড়ি থেকে মেয়রের ওয়ার্ড ভিত্তিক ত্রাণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়রের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সেদিন গাসিক মেয়র ঘোষণা করেছিলেন প্রাথমিকঅবস্থায় ৬০হাজার পরিবারকে ১৫ দিনের ত্রাণ দিয়ে পরে আরও ২০হাজার বাড়াবেন। ৫৭টি সিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ৬৫টি ত্রাণ কমিটি প্রথম ৬০হাজার পরিবারকে ৩১-৩৫কেজি খাদ্য সামগ্রী লক ডাউনে থাকা ঘর বন্দীদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন।
তাছাড়া ইউএনডিপির সহযোগিতায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কর্মহীনদের সাবান,মাস্ক ও হ্যান্ডসেনিটাইজার বিতরণ করবেন। ত্রাণ প্যাকেজে থাকবে প্রতি পরিবারে নূন্যতম ১৫ কেজি চাল, ১২ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও মুসুরী ডাল।
ত্রাণ বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-গাজীপুর মহানগর আ'লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সিটি প্যানেল মেয়র হোসনে আরা সিদ্দিকি জুলি, স্থানীয় চার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ, শাহীনুল আলম মৃধা, আবদুস সালাম, মোমেন মিয়া, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুল হাসান বিল্লাল, আমজাদ হোসেন মোল্লা, মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
তিনি বলেছেন, ২২ লাখ শ্রমিক গাজীপুরে ঢুকে গেছে। রিকশাভ্যান, অটোচালক দিনমজুর, খোলা বাজারে ব্যবসা করে ভাসমান আরও আড়াই লাখ। দুইশ’ বেশি বস্তি আছে। সব মিলিয়ে আমরা কঠিন সময় পার করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পূবাইলের মীরের বাজার চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড অফিসের সামনে পূবাইলের ৪ টি ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসের কারণে গৃহবন্দী দুস্থ গরিবদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী গাজীপুর-৫ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি।
সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সারা দুনিয়ায় এখনও করোনার কোনো ওষুধ নাই। গাজীপুরে সব মিলিয়ে মাত্র আটটি অক্সিজেন মেশিন আছে। আল্লাহর অশেষ রহমত ছাড়া আমাদের সামনে কোনো উপায় নেই। দুর্ভিক্ষ এড়াতে সবাই দয়া করে ১৫ দিন ঘরে বন্দি থেকে নিয়ম মানেন। নইলে মাসের পর মাস দুর্ভিক্ষে কাটাতে হবে। তখন কেউ খাবার ঘরে দিয়ে যাবে না।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ। নিজের সন্তান,নিজের বাবা-মা, নিজের চোখের সামনে মরবে কিছু করার থাকবে না, চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া। কেউ না খাইয়া মরে না মরে রোগে।
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে সচেতন হওয়া প্রসঙ্গে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম দুঃখ করে বলেন, দেশের ৮০ ভাগ মানুষের কোনো ধারণা নাই করোনা ভাইরাস কী? করোনা হাত দিয়া ধইরা দেখার ইচ্ছাও করে অনেকের। আমরা একজন আরেক জনের গায়ের উপর উঠে বসে পড়ি। এক ঘরে করোনা আক্রান্ত হলে ওই মহল্লা ওই গ্রাম সাফ হয়ে যাবে। আমরা রাজা বাদশা মন্ত্রী এমপি যা-ই হই না কেন আমাদের কিছু করার থাকবে না।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রবল শক্তিশালী ক্ষমতাধর শাসকেরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি।
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের ওয়ার্ড ভালো থাকলে সিটি ভালো থাকবে। সিটি ভালো থাকলে জেলা ভালো থাকবে,জেলা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। সুন্দর একটা বাংলাদেশ দেখার আশায় বুক বেঁধে আছি।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনা মোকাবেলা করার বাস্তবে আমাদের দেশে কিছু নাই।মাইকে আমরা ভালোই বলি। নিজে নিজের পরিবার দেশের মানুষকে বাঁচাতে নিয়ম মেনে ঘরে থাকতে হবে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য ২ এপ্রিল গাজীপুর সিটির কোনাবাড়ি থেকে মেয়রের ওয়ার্ড ভিত্তিক ত্রাণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেয়রের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সেদিন গাসিক মেয়র ঘোষণা করেছিলেন প্রাথমিকঅবস্থায় ৬০হাজার পরিবারকে ১৫ দিনের ত্রাণ দিয়ে পরে আরও ২০হাজার বাড়াবেন। ৫৭টি সিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে ৬৫টি ত্রাণ কমিটি প্রথম ৬০হাজার পরিবারকে ৩১-৩৫কেজি খাদ্য সামগ্রী লক ডাউনে থাকা ঘর বন্দীদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন।
তাছাড়া ইউএনডিপির সহযোগিতায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কর্মহীনদের সাবান,মাস্ক ও হ্যান্ডসেনিটাইজার বিতরণ করবেন। ত্রাণ প্যাকেজে থাকবে প্রতি পরিবারে নূন্যতম ১৫ কেজি চাল, ১২ কেজি আলু, ২ কেজি পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল ও মুসুরী ডাল।
ত্রাণ বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-গাজীপুর মহানগর আ'লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সিটি প্যানেল মেয়র হোসনে আরা সিদ্দিকি জুলি, স্থানীয় চার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ, শাহীনুল আলম মৃধা, আবদুস সালাম, মোমেন মিয়া, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুল হাসান বিল্লাল, আমজাদ হোসেন মোল্লা, মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
COMMENTS