![]() |
ফাইল ফটো |
করোনাভাইরাসের নতুন হটস্পট হতে যাচ্ছে গাজীপুর-এই আশঙ্কা থেকে নিজের তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় চিকিৎসক ও নার্সদের থাকার জন্য স্থানীয় কয়েকটি রিসোর্ট ভাড়া করছেন মেয়র। যাতে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের কারণে তাদের পরিবারে ঝুঁকি তৈরি না হয়।
জানা গেছে, আপাতত গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি রিসোর্টে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ইতিমধ্যে দুটি উন্নতমানের হোটেল ও রিসোর্ট বুকিং দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা ১০ টিতে উন্নীত করা হবে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং গাজীপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত পর্যন্ত গাজীপুরে ১১০ জন কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। তবে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৮২। যা ওই সময় পর্যন্ত সারা দেশে মোট শনাক্তের ৫.২১ শতাংশ। এদের মধ্যে অন্তত ৮২ শতাংশই গাজীপুরের স্থায়ী বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
প্রায় ৪০ লাখ মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ শহরটিকে নানা কারণে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় শহর লকডাউন করা হলেও এখন পর্যন্ত শতভাগ ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মানুষকে করোনার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষায় কিছু কৌশল গ্রহণ করেন।
সূত্র জানায়, গাজীপুরে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবীদের পরিবারও ঝুঁকিতে পড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। সে জন্য তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্ট বুকিং দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, আপাতত গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি রিসোর্টে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। ইতিমধ্যে দুটি উন্নতমানের হোটেল ও রিসোর্ট বুকিং দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা ১০ টিতে উন্নীত করা হবে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং গাজীপুরের সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত পর্যন্ত গাজীপুরে ১১০ জন কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। তবে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৮২। যা ওই সময় পর্যন্ত সারা দেশে মোট শনাক্তের ৫.২১ শতাংশ। এদের মধ্যে অন্তত ৮২ শতাংশই গাজীপুরের স্থায়ী বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
প্রায় ৪০ লাখ মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ শহরটিকে নানা কারণে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় শহর লকডাউন করা হলেও এখন পর্যন্ত শতভাগ ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মানুষকে করোনার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষায় কিছু কৌশল গ্রহণ করেন।
সূত্র জানায়, গাজীপুরে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবীদের পরিবারও ঝুঁকিতে পড়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। সে জন্য তাদের আলাদা থাকার ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্ট বুকিং দেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাজীপুরকে করোনা সংক্রমণের উপকেন্দ্র ভাবা হচ্ছে। সরকারও এ বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পর গাজীপুরের নাম আলোচিত হচ্ছে। এখান থেকে শ্রমিকরা যেন বাইরে গিয়ে নতুন নতুন এলাকাকে সংক্রমিত করতে না পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লকডাউনের নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে পালন করা হবে।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি আমার প্রথম লক্ষ্য। সে জন্যই চীন থেকে উন্নতমানের সুরক্ষা সামগ্রী এনে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি যেহেতু আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে, তাদের কারণে যেন পরিবারের সদস্যরা ঝুঁকিতে না পড়ে, সে জন্য কয়েকটি হোটেল ও রিসোর্টে তাদের থাকার ব্যবস্থা করছি।’
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে গাজীপুরের বাইরে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তৎপর হয়ে ওঠেন মেয়র। গাজীপুরে তখনও কেউ সংক্রমিত হননি। তবু নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০ হাজার কিট আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতিমধ্যে কিটসহ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী দেশে পৌঁছেছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে অভুক্ত মানুষের জীবন ধারনের জন্য প্রায় ৬০ হাজার পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে তার তত্ত্বাবধানে।
COMMENTS