প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান লকডাউনের মধ্যেই গাজীপুর মহানগীর ভোগড়া বাইপাস, সাইনবোর্ড ও টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় ৬টি তৈরী পোশাক করাখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে রবিবার আলাদাভাবে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। পরে কর্তৃপক্ষ ১৬ এপ্রিল তাদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে তিনটি কারখানার শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দিন ও স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিজিএমইএ’র আহবানে গাজীপুরের অধিকাংশ পোশাক কারখানা পর্যায়ক্রমে দু’দফায় ছুটি দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ছুটি ঘোষণার বাধ্যবাধকতা না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও প্রথম থেকেই গাজীপুরের আড়াই শতাধিক পোশাক কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে চালু রাখে। গত কয়েকদিন ধরে এসব কারখানার শ্রমিকরা তাদের ফেব্রুয়ারি মাস হতে তিন মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবী জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এতে সায় না দেওয়ায় শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস ও সাইনবোর্ড এলাকার ইস্ট ওয়েষ্ট গ্রুপ ও নিউওয়ে ফ্যাশনস লিমিটেড, স্টাইলিশ, ভেলমন্ট, তারগাছ এলাকার ফ্লোরেট এবং টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার বিএইচআইএস কারখানাসহ ৬টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তিন মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবীতে পর্যায়ক্রমে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা কারখানার পার্শ্ববর্তী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে। এতে নিত্য প্রয়োজণীয় পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে মহাসড়কের উভয় পাশে বিভিন্ন যানবাহন দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় তারগাছ এলাকার ফ্লোরেট কারখানার কিছু শ্রমিক পার্শ্ববর্তী তায়েরুননেছা মেমোরিয়াল হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে পুলিশের মধ্যস্থতায় মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক আলোচনা করে ১৬এপ্রিল বকেয়া বেতন প্রদানের ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা আন্দোলন ত্যাগ করে চলে যায়। তবে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার বিএইচআইএস কারখানার শ্রমিকরা বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাইনবোর্ড ইষ্ট ওয়েষ্ট গ্রুপের পোশাক করখানার শ্রকিরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। শ্রমিকরা এক ঘন্টা ওই মহাসড়ক অবস্থানের এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ আগামী ১৬ এপ্রিল বেতন পরিশোধের ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে বাড়ি ফিরে যায়।
প্রায় একই সময় ভোগড়া বাইপাস এলাকার স্টাইলিষ্ট এবং নিউ ইস্ট পোশাক করাখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে একই মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের বেতনও ১৬ এপ্রিল পরিশোধের ঘোষণা দেয়।
নিউওয়েস্ট ফ্যাশন লিমিটেডের নিটিং অপারেটর শাহিনা বেগম জানান, তার দুই মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। কারখানা কর্তৃপক্ষ দেই দিচ্ছি করে ঘুরাচ্ছে। এখন আমাদের ঘরে খাবার নেই। বাড়ি ভাড়া ও দোকান বাকি পড়ে আছে। পাওনাদারদের জন্য বাসা থেকে বের হতে পারছিনা। এর মধ্যে গাজীপুর লক ডাউন করা হয়েছে। এখন আমাদের না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। তিনি আরো জানান, সরকার যে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে তা কেবল যারা স্থানীয়রা ও গাজীপুরের যারা ভোটার তারা পাচ্ছেন। অন্যরা কেউ ত্রাণ পাচ্ছে না। তাই এখন আমারা বেতন না পেলে সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে মরব। যানবাহন বন্ধ থাকায় সন্তানদের গ্রামের বাড়িতেও রেখে আসতে পারছি না।
জিএমপি’র টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন জানান, করোনা সংক্রমনরোধে জেলায় অবরুদ্ধ অবস্থা চলাকালেও বেতন বকেয়া রেখে কিছু কিছু পোশাক কারখানা পিপিই ও মাস্ক তৈরির অজুহাতে চালু রেখেছে। তারা সরকারি সিদ্ধান্তের অজুহাত দিয়ে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলে কারখানা চালু রাখলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। এদের কিছু কারখানা বেতন না দেয়ায় বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে। শ্রমিকদের অনেকের ধারণা, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ না করেই মালিক পক্ষ তাদের কারখানা ছুটি ঘোষণা করে বন্ধ করে দিবেন। ফলে বেতনের জন্য পোশাক শ্রমিকরা কারখানায় এবং রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। এতে নিরাপদ সামাজিক দুরত্ব মেনে না চলায় করোনা সংক্রমনের বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হলেও তার থানাধীন সাতাইশ এলাকার রক এন্ড রোল এপারেলস, ক্লাসিক ফ্যাশন, তিলারগাতি এলাকার ট্রাউজার ল্যান্ড, বড়দেওড়া এলাকার জয়নাল নীট কম্পোজিটসহ পাঁচটি কারখানা চালু রয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দিন ও স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিজিএমইএ’র আহবানে গাজীপুরের অধিকাংশ পোশাক কারখানা পর্যায়ক্রমে দু’দফায় ছুটি দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ছুটি ঘোষণার বাধ্যবাধকতা না থাকায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও প্রথম থেকেই গাজীপুরের আড়াই শতাধিক পোশাক কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম কর্তৃপক্ষ নিজ দায়িত্বে চালু রাখে। গত কয়েকদিন ধরে এসব কারখানার শ্রমিকরা তাদের ফেব্রুয়ারি মাস হতে তিন মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবী জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এতে সায় না দেওয়ায় শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস ও সাইনবোর্ড এলাকার ইস্ট ওয়েষ্ট গ্রুপ ও নিউওয়ে ফ্যাশনস লিমিটেড, স্টাইলিশ, ভেলমন্ট, তারগাছ এলাকার ফ্লোরেট এবং টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার বিএইচআইএস কারখানাসহ ৬টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তিন মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের দাবীতে পর্যায়ক্রমে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা কারখানার পার্শ্ববর্তী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে। এতে নিত্য প্রয়োজণীয় পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে মহাসড়কের উভয় পাশে বিভিন্ন যানবাহন দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। ঘটনার সময় তারগাছ এলাকার ফ্লোরেট কারখানার কিছু শ্রমিক পার্শ্ববর্তী তায়েরুননেছা মেমোরিয়াল হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে পুলিশের মধ্যস্থতায় মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক আলোচনা করে ১৬এপ্রিল বকেয়া বেতন প্রদানের ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা আন্দোলন ত্যাগ করে চলে যায়। তবে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার বিএইচআইএস কারখানার শ্রমিকরা বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাইনবোর্ড ইষ্ট ওয়েষ্ট গ্রুপের পোশাক করখানার শ্রকিরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। শ্রমিকরা এক ঘন্টা ওই মহাসড়ক অবস্থানের এক পর্যায়ে মালিকপক্ষ আগামী ১৬ এপ্রিল বেতন পরিশোধের ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে বাড়ি ফিরে যায়।
প্রায় একই সময় ভোগড়া বাইপাস এলাকার স্টাইলিষ্ট এবং নিউ ইস্ট পোশাক করাখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে একই মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের বেতনও ১৬ এপ্রিল পরিশোধের ঘোষণা দেয়।
নিউওয়েস্ট ফ্যাশন লিমিটেডের নিটিং অপারেটর শাহিনা বেগম জানান, তার দুই মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। কারখানা কর্তৃপক্ষ দেই দিচ্ছি করে ঘুরাচ্ছে। এখন আমাদের ঘরে খাবার নেই। বাড়ি ভাড়া ও দোকান বাকি পড়ে আছে। পাওনাদারদের জন্য বাসা থেকে বের হতে পারছিনা। এর মধ্যে গাজীপুর লক ডাউন করা হয়েছে। এখন আমাদের না খেয়ে মরার উপক্রম হয়েছে। তিনি আরো জানান, সরকার যে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে তা কেবল যারা স্থানীয়রা ও গাজীপুরের যারা ভোটার তারা পাচ্ছেন। অন্যরা কেউ ত্রাণ পাচ্ছে না। তাই এখন আমারা বেতন না পেলে সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে মরব। যানবাহন বন্ধ থাকায় সন্তানদের গ্রামের বাড়িতেও রেখে আসতে পারছি না।
জিএমপি’র টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. এমদাদ হোসেন জানান, করোনা সংক্রমনরোধে জেলায় অবরুদ্ধ অবস্থা চলাকালেও বেতন বকেয়া রেখে কিছু কিছু পোশাক কারখানা পিপিই ও মাস্ক তৈরির অজুহাতে চালু রেখেছে। তারা সরকারি সিদ্ধান্তের অজুহাত দিয়ে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলে কারখানা চালু রাখলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। এদের কিছু কারখানা বেতন না দেয়ায় বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে। শ্রমিকদের অনেকের ধারণা, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের বেতনভাতা পরিশোধ না করেই মালিক পক্ষ তাদের কারখানা ছুটি ঘোষণা করে বন্ধ করে দিবেন। ফলে বেতনের জন্য পোশাক শ্রমিকরা কারখানায় এবং রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। এতে নিরাপদ সামাজিক দুরত্ব মেনে না চলায় করোনা সংক্রমনের বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হলেও তার থানাধীন সাতাইশ এলাকার রক এন্ড রোল এপারেলস, ক্লাসিক ফ্যাশন, তিলারগাতি এলাকার ট্রাউজার ল্যান্ড, বড়দেওড়া এলাকার জয়নাল নীট কম্পোজিটসহ পাঁচটি কারখানা চালু রয়েছে।
COMMENTS