আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত লোকজন হয়তো এর প্রভাব থেকে কখনই পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবেন না। তারা বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে স্বাস্থ্যের সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতি সম্পর্কে কেবল বুঝতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আগে এই রোগটির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে যে অনুমান করা হয়েছিল তার ব্যাপকতা আরও বেশি বলে গবেষণায় মিলছে।
এখন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, কোভিড-১৯ শুধুমাত্র বিস্তৃত লক্ষণগুলোর কারণ নয়, বরং সেগুলো আগের ধারণার চেয়েও আরো বেশি দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারে।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে লেখা এক নিবন্ধে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. হেলেন স্যালিসবুরি বলেছেন, আপনি যদি আগে এক সপ্তাহে তিনবার পাঁচ কিলোমিটার দৌড়াতেন এখন কয়েক কদম চলার পর শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন। অথবা আপনার যদি টানা কাশি থেকে থাকে এবং কাজে ফিরতে খুব পরিশ্রান্ত বোধ করেন, তাহলে আপনি হয়তো আগের স্বাস্থ্য আর ফিরে পাবেন না। আর এটাই প্রকৃত বাস্তব।
করোনাভাইরাসকে প্রাথমিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাজনিত একটি রোগের কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল, যা রোগীদের শ্বাস কষ্টের লড়াইয়ে ফেলে দেয়। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভেন্টিলেটর কিংবা অক্সিজেন হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়েছে তখন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে আক্রমণ করছে; যা সম্ভাব্য বিপর্যয়ের কারণ।
ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এরিক টোপোল বলেছেন, আমরা মনে করেছিলাম এটি কেবল শ্বাস কষ্টের একটি ভাইরাস। দেখা গেল এটি অগ্ন্যাশয়ে যাচ্ছে। এটি হার্টে যাচ্ছে। এটি লিভার, মস্তিষ্ক, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গে আক্রমণ করছে। যা আমরা শুরুতে উপলব্ধি করতে পারিনি।
কোভিড-১৯ রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা, হার্ট অ্যাটাক, একাধিক অঙ্গ সিস্টেমে চরম প্রদাহ সৃষ্টি, মস্তিষ্কে আক্রমণ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, স্বাদ এবং গন্ধশক্তি বিলোপের মতো সমস্যা তৈরি করছে। এসব লক্ষণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা খুবই সময়সাপেক্ষ এবং চরম মূল্যও দিতে হতে পারে; যা মানসম্মত জীবন-যাপনের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলবে।
শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিয়া খান রয়টার্সকে বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, তারা করোনায় উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে এই ভাইরাস সম্পর্কে আরও অবাক করার মতো বিষয় হলো- ফুসফুসের বাইরে এর জটিলতার ব্যাপকতা। তার ধারণা, যারা কোভিড-১৯ থেকে যারা বেঁচে ফিরবেন তাদের বিশাল স্বাস্থ্য সেবা ব্যয় বহন করতে হবে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, যারা কয়েক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র অথবা ভেন্টিলেটরে ছিলেন তাদের শরীরের গতি এবং শক্তি ফিরে পেতে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। এই শক্তি পুনরুদ্ধারে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কাটানো প্রতি একদিনের বিপরীতে সাত দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যদি আপনি বয়স্ক হন তাহলে এটি আরো কঠিন হবে, হয়তো আপনি কখনও আগের মতো কর্মশক্তিতে ফিরে আসতে পারবেন না।
এখন বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, কোভিড-১৯ শুধুমাত্র বিস্তৃত লক্ষণগুলোর কারণ নয়, বরং সেগুলো আগের ধারণার চেয়েও আরো বেশি দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারে।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে লেখা এক নিবন্ধে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. হেলেন স্যালিসবুরি বলেছেন, আপনি যদি আগে এক সপ্তাহে তিনবার পাঁচ কিলোমিটার দৌড়াতেন এখন কয়েক কদম চলার পর শ্বাসকষ্ট অনুভব করছেন। অথবা আপনার যদি টানা কাশি থেকে থাকে এবং কাজে ফিরতে খুব পরিশ্রান্ত বোধ করেন, তাহলে আপনি হয়তো আগের স্বাস্থ্য আর ফিরে পাবেন না। আর এটাই প্রকৃত বাস্তব।
করোনাভাইরাসকে প্রাথমিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাজনিত একটি রোগের কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল, যা রোগীদের শ্বাস কষ্টের লড়াইয়ে ফেলে দেয়। তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভেন্টিলেটর কিংবা অক্সিজেন হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়েছে তখন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে আক্রমণ করছে; যা সম্ভাব্য বিপর্যয়ের কারণ।
ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এরিক টোপোল বলেছেন, আমরা মনে করেছিলাম এটি কেবল শ্বাস কষ্টের একটি ভাইরাস। দেখা গেল এটি অগ্ন্যাশয়ে যাচ্ছে। এটি হার্টে যাচ্ছে। এটি লিভার, মস্তিষ্ক, কিডনি এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গে আক্রমণ করছে। যা আমরা শুরুতে উপলব্ধি করতে পারিনি।
কোভিড-১৯ রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসের পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা, হার্ট অ্যাটাক, একাধিক অঙ্গ সিস্টেমে চরম প্রদাহ সৃষ্টি, মস্তিষ্কে আক্রমণ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, স্বাদ এবং গন্ধশক্তি বিলোপের মতো সমস্যা তৈরি করছে। এসব লক্ষণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা খুবই সময়সাপেক্ষ এবং চরম মূল্যও দিতে হতে পারে; যা মানসম্মত জীবন-যাপনের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলবে।
শিকাগোর নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিয়া খান রয়টার্সকে বলেছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার পাশাপাশি যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, তারা করোনায় উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে এই ভাইরাস সম্পর্কে আরও অবাক করার মতো বিষয় হলো- ফুসফুসের বাইরে এর জটিলতার ব্যাপকতা। তার ধারণা, যারা কোভিড-১৯ থেকে যারা বেঁচে ফিরবেন তাদের বিশাল স্বাস্থ্য সেবা ব্যয় বহন করতে হবে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, যারা কয়েক সপ্তাহ ধরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র অথবা ভেন্টিলেটরে ছিলেন তাদের শরীরের গতি এবং শক্তি ফিরে পেতে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে। এই শক্তি পুনরুদ্ধারে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কাটানো প্রতি একদিনের বিপরীতে সাত দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যদি আপনি বয়স্ক হন তাহলে এটি আরো কঠিন হবে, হয়তো আপনি কখনও আগের মতো কর্মশক্তিতে ফিরে আসতে পারবেন না।
COMMENTS