গত ১৫ই জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। ঐ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল যে রেড জোন এবং ইয়োলো জোনে সাধারণ ছুটি থাকবে, শুধুমাত্র গ্রীন জোনে সীমিত আকারে কাজ করা হবে। এর দুইঘন্টা পরে প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করা হয়। সংশোধনে বলা হয়, শুধুমাত্র রেড জোনে সাধারণ ছুটি হবে, ইয়োলো এবং গ্রীণ জোনে সীমিত আকারে অফিস-আদালত এবং অন্যান্য সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর কার্যক্রম চলবে।
এই প্রজ্ঞাপন এর পরপরই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংক্রমণ এর উপর ভিত্তি করে যে জেলাগুলো এবং যে এলাকাগুলো বেশি সংক্রমিত সেই স্থানগুলোকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে। যেটি অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত সেটিকে ইয়োলো জোন ঘোষণা করা হবে। এর ভিত্তিতে লকডাউন এর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি এটিও জানিয়েছিলেন যে, সংক্রমণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে লকডাউন কার্যকর করবেন।
এরপর ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর মেয়র বলেছিলেন, কোন এলাকা রেড জোন এবং কোন এলাকা ইয়োলো জোন সে সম্পর্কে তারা এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাননি। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করলে তাদের ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে এটা বাস্তবায়ন করতে। এরপর পাঁচদিন অতিবাহিত হয়েছে, এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রেড জোন,ইয়োলো জোন বা গ্রীন জোন কোনটি হবে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা দিতে পারেনি। এমনকি সংক্রমণ বিধি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোকে লকডাউন করার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত ঘোষিত হয়নি। এর ফলে নানারকম ভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ করেই বিভিন্ন এলাকায় ঘোষণা করা হচ্ছে যে এলাকাটি রেড জোন, তারপর জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সেই সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা পাননি।
গত পাঁচ দিনে এই নিয়ে বিভ্রান্তি চরম শিখরে পৌঁছে গেছে এবং নাগরিকদের মধ্যে উৎকন্ঠা অস্বস্থি এবং বিরক্তি বেড়েছে। উল্লেখ্য, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে এলাকা গুলোতে ১ লাখে ৪০ জন বা তার বেশি আক্রান্ত সেই এলাকাগুলোকে লাল তালিকাভুক্ত করা হবে।পুরো ঢাকা শহর বা পুরো দেশ বন্ধ না করে সেই এলাকাগুলোকে বন্ধ করে সংক্রমন ঠেকানো হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়েছিলো বলেও বলা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিলো, ঢাকা শহরে উত্তর এবং দক্ষিণ মিলিয়ে ৪৫টি এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত হয়েছে। এরপর এই রেডজোন এলাকাগুলোকে লকডাউন করা হবে। এ ঘোষণার পর আবার ব্যাখা দেওয়া হয়েছিলো যে, ৪৫টি এলাকা রেডজোন করা হয়েছে তার সবগুলো একসাথে লকডাউন করা হবেনা। ঐ এলাকার যে পকেটগুলোতে সংক্রমণ বেশি সে পকেটগুলো লকডাউন করা হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছিলো, ধরা যাক ধানমন্ডিতে যে এলাকা সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত সে এলাকাগুলোকে লকডাউন করা হবে। এর মাধ্যমে সংক্রমণ ঠেকানো হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এটাও বলা হয়েছিলো যে, এজন্য তারা পাইলট করছেন এবং পূর্ব রাজাবাজার কে পাইলটিং করে তারা দেখতে চাইছেন যে উদ্যোগ সফল হয় কিনা।
কিন্তু পূর্ব রাজাবাজার এর যে অভিজ্ঞতা সে অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজেই বলেছেন, ঢাকা পূর্ব রাজাবাজার এর যে লকডাউন হয়েছে সে লকডাউন এর পর সেখানে সংক্রমণ বেড়েছে এবং জনগণ এর মধ্যে ঐ লকডাউন নিয়ে নানারকম বিরক্তি এবং নেতিবাচক মনোভাব তৈরী হয়েছে।
পূর্ব রাজাবাজারের এই অভিজ্ঞতার পর ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকাগুলোকে লকডাউন করা হবে কিনা বা কি পদ্ধতিতে হবে সেই নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত জোনিং ম্যাপ চূড়ান্ত করতে পারেননি। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন, এই নিয়ে তারা কাজ করছেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ঘোষণা করা হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোনিং ম্যাপ যদি চূড়ান্ত করা না হয় তাহলে কেন এ ধরণের ঘোষণা দেয়া হলো?
এদিকে জোনিং ম্যাপ চূড়ান্ত না করার ফলে নানারকম গুজব তৈরী হচ্ছে। গতকালই বলা হয়েছিলো, বসুন্ধরা লকডাউন করা হবে কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, এ ধরনের নির্দেশনা তারা পাননি। জনপ্রতিনিধিগণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন এবং তারা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি জোন ম্যাপ করতে যে সময় নিচ্ছে তা অমার্জনীয়। ফলে যে উদ্দেশ্য জোন ম্যাপ করা হচ্ছে সে উদ্দেশ্য ব্যহত হওয়ার আশংকা তৈরী হয়েছে। একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, রেডজোন করতে যে বিলম্ব হচ্ছে তার ফলে রেডজোন এর জোন ম্যাপিং এর কোন কার্যকারিতা থাকবেনা। কারণ যখন এই জোন ম্যাপিং প্রকাশ করা হবে তখন দেখা গেলো যে, ইয়োলো জোন রেডজোন এর মধ্যে চলে এসেছে এবং রেড জোন, ইয়োলো জোনে পরিণত হয়েছে। কারণ প্রতিনিয়ত রোগী বাড়ছে এবং সঙ্গে সংক্রমণ এলাকাও বদলে যাচ্ছে। এ বাস্তবতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আসলে কি করছে এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির চরম সীমায় পৌঁছেছে জনগণ।
এই প্রজ্ঞাপন এর পরপরই জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংক্রমণ এর উপর ভিত্তি করে যে জেলাগুলো এবং যে এলাকাগুলো বেশি সংক্রমিত সেই স্থানগুলোকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে। যেটি অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত সেটিকে ইয়োলো জোন ঘোষণা করা হবে। এর ভিত্তিতে লকডাউন এর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি এটিও জানিয়েছিলেন যে, সংক্রমণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে লকডাউন কার্যকর করবেন।
এরপর ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর মেয়র বলেছিলেন, কোন এলাকা রেড জোন এবং কোন এলাকা ইয়োলো জোন সে সম্পর্কে তারা এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাননি। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করলে তাদের ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে এটা বাস্তবায়ন করতে। এরপর পাঁচদিন অতিবাহিত হয়েছে, এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রেড জোন,ইয়োলো জোন বা গ্রীন জোন কোনটি হবে সেই সম্পর্কে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা দিতে পারেনি। এমনকি সংক্রমণ বিধি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোকে লকডাউন করার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত ঘোষিত হয়নি। এর ফলে নানারকম ভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে। হঠাৎ করেই বিভিন্ন এলাকায় ঘোষণা করা হচ্ছে যে এলাকাটি রেড জোন, তারপর জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সেই সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা পাননি।
গত পাঁচ দিনে এই নিয়ে বিভ্রান্তি চরম শিখরে পৌঁছে গেছে এবং নাগরিকদের মধ্যে উৎকন্ঠা অস্বস্থি এবং বিরক্তি বেড়েছে। উল্লেখ্য, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে এলাকা গুলোতে ১ লাখে ৪০ জন বা তার বেশি আক্রান্ত সেই এলাকাগুলোকে লাল তালিকাভুক্ত করা হবে।পুরো ঢাকা শহর বা পুরো দেশ বন্ধ না করে সেই এলাকাগুলোকে বন্ধ করে সংক্রমন ঠেকানো হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়েছিলো বলেও বলা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিলো, ঢাকা শহরে উত্তর এবং দক্ষিণ মিলিয়ে ৪৫টি এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত হয়েছে। এরপর এই রেডজোন এলাকাগুলোকে লকডাউন করা হবে। এ ঘোষণার পর আবার ব্যাখা দেওয়া হয়েছিলো যে, ৪৫টি এলাকা রেডজোন করা হয়েছে তার সবগুলো একসাথে লকডাউন করা হবেনা। ঐ এলাকার যে পকেটগুলোতে সংক্রমণ বেশি সে পকেটগুলো লকডাউন করা হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছিলো, ধরা যাক ধানমন্ডিতে যে এলাকা সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত সে এলাকাগুলোকে লকডাউন করা হবে। এর মাধ্যমে সংক্রমণ ঠেকানো হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এটাও বলা হয়েছিলো যে, এজন্য তারা পাইলট করছেন এবং পূর্ব রাজাবাজার কে পাইলটিং করে তারা দেখতে চাইছেন যে উদ্যোগ সফল হয় কিনা।
কিন্তু পূর্ব রাজাবাজার এর যে অভিজ্ঞতা সে অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো না। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজেই বলেছেন, ঢাকা পূর্ব রাজাবাজার এর যে লকডাউন হয়েছে সে লকডাউন এর পর সেখানে সংক্রমণ বেড়েছে এবং জনগণ এর মধ্যে ঐ লকডাউন নিয়ে নানারকম বিরক্তি এবং নেতিবাচক মনোভাব তৈরী হয়েছে।
পূর্ব রাজাবাজারের এই অভিজ্ঞতার পর ঢাকা শহরের অন্যান্য এলাকাগুলোকে লকডাউন করা হবে কিনা বা কি পদ্ধতিতে হবে সেই নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত জোনিং ম্যাপ চূড়ান্ত করতে পারেননি। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন, এই নিয়ে তারা কাজ করছেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ঘোষণা করা হবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জোনিং ম্যাপ যদি চূড়ান্ত করা না হয় তাহলে কেন এ ধরণের ঘোষণা দেয়া হলো?
এদিকে জোনিং ম্যাপ চূড়ান্ত না করার ফলে নানারকম গুজব তৈরী হচ্ছে। গতকালই বলা হয়েছিলো, বসুন্ধরা লকডাউন করা হবে কিন্তু পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, এ ধরনের নির্দেশনা তারা পাননি। জনপ্রতিনিধিগণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন এবং তারা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি জোন ম্যাপ করতে যে সময় নিচ্ছে তা অমার্জনীয়। ফলে যে উদ্দেশ্য জোন ম্যাপ করা হচ্ছে সে উদ্দেশ্য ব্যহত হওয়ার আশংকা তৈরী হয়েছে। একজন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলছেন, রেডজোন করতে যে বিলম্ব হচ্ছে তার ফলে রেডজোন এর জোন ম্যাপিং এর কোন কার্যকারিতা থাকবেনা। কারণ যখন এই জোন ম্যাপিং প্রকাশ করা হবে তখন দেখা গেলো যে, ইয়োলো জোন রেডজোন এর মধ্যে চলে এসেছে এবং রেড জোন, ইয়োলো জোনে পরিণত হয়েছে। কারণ প্রতিনিয়ত রোগী বাড়ছে এবং সঙ্গে সংক্রমণ এলাকাও বদলে যাচ্ছে। এ বাস্তবতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আসলে কি করছে এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির চরম সীমায় পৌঁছেছে জনগণ।
COMMENTS