ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কয়েজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ইতালিতে। এরপর থেকেই দেশটিতে বিপাকে পড়েন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শনাক্তদের ফিরিয়ে দেয়াসহ বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় দেশটি। এখন বাংলাদেশিদের আজীবন নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে ইতালিতে।
দেশটির ইমিগ্রেশন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা’র প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির ইমিগ্রেশন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশিদের দেশটিতে আজীবন নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে।
করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশিরা দেশটিতে যাওয়ার চেষ্টা করায় ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চরম ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা জানান, ভুয়া করোনা সনদ নিয়ে রোমে আসা সত্যিই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে বলেন, অন্য দেশের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য জাতি খেসারত দিতে পারে না। আমরা অনেক কষ্ট করে করোনা মোকাবিলা করেছি। গত ৬ জুলাই একটি বিশেষ ফ্লাইটে ২৭৪ জন বাংলাদেশি রোমে যান। তাৎক্ষণিকভাবে এ যাত্রীদের মধ্যে ৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। তাদের কাছে পাওয়া যায় করোনার জাল সার্টিফিকেট। এখন ৩৬ থেকে বেড়ে এখন ৭৭ জনে পৌঁছেছে।
এ ঘটানার পরই দেশটিতে বাংলাদেশিদের যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইতালির সরকার। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি ইতালি যেতে পারবেন না। এই অবস্থায় ইতালির লাজ্জিওতে ৩৫ হাজার বাংলাদেশির করোনা টেস্টের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৩ জুলাই, সোমবার থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাশে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পে এই টেস্ট শুরু হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গুটি কয়েক লোকের জন্য দেশের বদনাম হচ্ছে।
COMMENTS