ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস ক’রেন ডা. সাবরিনা চৌধুরী। শি’ক্ষাজীবন থেকেই তিনি বেপ’রোয়া। কার্ডি’য়াক চিকিৎক হি’সেবে যোগদান করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। এরপরই তি’নি নানা ক’কা’ণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। চিকিৎসক নেতাসহ স’রকার’দলীয় নেতাদে’র সঙ্গে তার যোগা’যোগ ছিল।
জাতীয় হৃ’দরোগ ইনস্টি’টিউটের একাধিক চিকিৎসক-কর্মক’র্তা জানান, সার্জা’রি বিভা’গের এক চিকিৎস’কের সঙ্গে ডা. সাব’রিনার অ’নৈ’তিক সম্প’র্ক নিয়ে তার স্বা’মী আরিফ চৌধুরী ক্ষুব্ধ ছি’লেন। ওই চি’কিৎসক বিএমএর নেতা। সাব’রিনা’কে একদিন এক চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কা’টানো অব’স্থায় পেয়ে’ছেন আরিফ চৌধুরী। পরে আ’রি’ফের মার’ধরে’র শিকার হন ডা. সাবরিনা ও ওই চি’কিৎসক। এ ঘট’নায় ডা. সাবরিনা ও ওই চিকিৎসক শেরে’বাংলা নগর থানায় পৃথক দুটি জি’ডিও করেন।
অভিযো’গ আছে, স’হকর্মী একা’ধিক চিকিৎসকের সঙ্গে তার অ’নৈতি’ক সম্প’র্ক ছিল। এছাড়াও সাবরি’নার আরো অনে’কের সঙ্গে ঘনি’ষ্ঠ সম্প’র্কে’র খবর মি’লেছে। এসব কার’ণেই আ’রিফের সঙ্গে তার সম্প’র্ক ভালো যাচ্ছি’ল না। প্রায়’ই তা’দের মধ্যে ম’নোমা’লিন্য ঝগ’ড়া’ঝাটি লেগেই থাকতো। আরি’ফ চৌধুরী’র চতুর্থ স্ত্রী হিসা’বেই সাবরিনা পরিচিত। আরি’ফের দুই স্ত্রী থা’কেন রা’শিয়া ও লন্ডনে। আর আরে’কজ’নের সঙ্গে তার ছাড়া’ছাড়ি হয়ে গেছে।
অবশেষে ডা. সাব’রিনা চৌধুরী পুলি’শের কব্জায়। জাতীয় হৃদ’রোগ ই’নস্টিটিউ’টের এই কার্ডিয়াক সার্জন করো’নার ভু’য়া টেস্টের মা’ধ্যমে আট কোটি টাকা হা’তিয়ে নিয়েছেন এ অ’ভিযোগ ছিল আগে থেকে। জেকে’জি হেলথ কে’য়ার না’মের একটি প্রতি’ষ্ঠানের মাধ্যমে ২৭ হাজার মানু’ষের নুমনা সংগ্রহ করে ১৫ হাজার ৪৬০টি জাল স’নদ দিয়ে এ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। আর এ অভি’যোগে’ই রোববার (১২ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলি’টন পুলিশের তে’জগাঁও ডিভি’শনের উপ কমিশনার (ডিসি) কা’র্যাল’য়ে জিজ্ঞা’সাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তা’র দেখা’নো হয়েছে। পরে তাকে তেজগাঁও থানা হা’জতে রাখা হয়।
প্র’তার’ণার যে মা’মলায় তাকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে সোম’বার সকালে ওই মা’ম’লায় রি’মান্ড আবে’দন করা হবে। গ্রেপ্তারের পর জাতীয় হৃদ’রোগ ইনস্টিটিউট থেকে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে ২৩শে জুন জেকে’জির সাবেক দুই কর্মী হুমায়ুন কবি’র হিমু ও তার স্ত্রী সিস্টার তানজি’নাকে ক’রো’না প’রীক্ষার জাল রিপোর্ট তৈরি’র অভি’যোগে গ্রে’প্তার করে পুলিশ।
তাদে’র দেয়া তথ্য মতেই জে’কেজির গু’লশা’নের অফি’সে অভি’যান চালি’য়ে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠা’নের আরো কয়ে’কজন ক’র্মচা’রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে জি’জ্ঞাসাবা’দ করে পু’লিশ জানতে পারে জে’কেজির সিই্ও হলেন আ’রিফ চৌধুরী ও চেয়ার’ম্যান ডা. সা’বরিনা চৌ’ধুরী। যদিও আরিফ চৌ’ধুরীসহ অন্যরা গ্রে’প্তারে’র পর থেকে সাবরিনা চৌধুরী নিজেকে এই প্রতিষ্ঠা’নের কেউ না বলে দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু পু’লিশ ব্যাপক ত’দন্ত ও নানা তথ্য-উপাত্ত বি’শ্লেষণ করে জান’তে পারে জে’কেজির সঙ্গে সাব’রিনার সং’শ্লি’ষ্টতা রয়েছে। এরই প্রে’ক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তা’র করা হয়েছে।
প্রতারণা মা’মলা’র ত’দন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মক’র্তারা জানি’য়েছেন, শুরু থেকেই ডা. সাব’রিনা দায় এড়ানোর চেষ্টা করছি’লেন। জেকে’জির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃ’ক্ত’তা নেই বলে দাবি করে আস’ছিলেন। বিভিন্ন গণ’মাধ্যমেও সাফ বলে’ছেন তিনি জে’কে’জির কেউ না। কিন্তু ব্যাপক তদ’ন্তের মাধ্য’মে এটা আগে থেকেই নি’শ্চিত হওয়া যায় সর’কারি চা’করির পা’শাপা’শি তিনি জেকে’জির চে’য়ার’ম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন কর’ছি’লেন। এমনি প্রায় ২৭ হাজার মা’নুষের সঙ্গে তিনি প্রতা’রণা করেছেন। ক’রোনা’র জাল সন’দ তৈরি করে ইচ্ছেমতো প’জেটি’ভ ‘নেগে’টিভ রেজাল্ট দিয়ে’ছেন তার প্রতিষ্ঠা’নের কর্মীরা।
তিনি এসব বিষয়ে অবগ’ত ছিলেন। এছাড়া তার এমন কিছু কর্মকাণ্ড রয়েছে যেগুলো থেকে নিশ্চিত হয়েছে তিনি এই প্রতি’ষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তিতু’মীর ক’লেজের চতুর্থ শ্রেণির ক’র্মচারী ও সাধার’ণ শিক্ষা’র্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি নিজে উপ’স্থিত থেকে প্রতিষ্ঠানের চেয়া’রম্যান হিসেবে বক্ত’ব্য দিয়েছেন। সামা’জিক যোগা’যোগ মাধ্য’মেও স্ট্যাটা’স দিয়েছেন। এসব বিষ’য় তদ’ন্ত করে তার সম্পৃক্ততার প্র’মাণ মি’লেছে। এছাড়া তার স্বামী, অ’ফিসের ক’র্মচারীর ব’ক্তব্য, ফাই’লপ’ত্রে তিনি যে প্রতিষ্ঠা’নের সম্পৃক্ত তার প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে রোব’বার পুলিশের জি’জ্ঞাসা’বাদের আগে জেকে’জির সিইও আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে তার যোগসাজশ নেই ব’লে দাবি করে সাবরি’না বলেন, আরি’ফের সঙ্গে তিনি আর সংসার করছেন না। আরিফ চৌ’ধুরী এ মু’হূর্তে তার স্বা’মী নন। তারা আ’লাদা থা’কছেন। আ’রিফকে তিনি ডি’ভোর্স লেটার পা’ঠিয়ে’ছেন। কার্যকর হতে দুই মাস সময় লাগবে। তিনি ব’লেছেন, জে’কেজি’র চেয়ার’ম্যান হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটি ওভা’ল গ্রু’পের একটি অঙ্গ’সংগঠ’ন। আর ওভাল গ্রুপ একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যার মা’লিক আরিফ চৌধুরী। অভি’যোগে’র বিষয়ে তার ব্যা’খ্যা জা’নতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জে’কেজির চেয়ারম্যান নই। আপনা’রা আগে কাগ’জ দেখান, তারপর আমা’র ব্যাখ্যা চান।
তিনি বলেন, জয়ে’ন্ট স্টকে আপ’নারা খবর নেন। আমি কোনো কোম্পা’নির চেয়া’রম্যা’ন নই। আমি জে’কেজির স্বা’স্থ্যকর্মী’দের ট্রেনিং দিতাম। আমি শু’ধু ট্রেনিং সেন্টার পর্যন্ত যেতাম। জে’কেজির সাইন’বো’র্ডে তার নামের শেষে আরি’ফ চৌধুরীর নামের শে’ষাংশ যুক্ত আছে- এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমনও তো হতে পারে এটা আ’মার আস’ল নাম না। ফে’সবু’কীয় নাম। এটা এখনো পরি’বর্তন করা হয়’নি। দ্রুতই করবো।
আমি কোনো অনৈ”তিক কাজ করিনি। আজকে কেন জীব’নেও করিনি। আমি এ বিষয়ে ক’নফিডেন্ট। সাবরিনা বলেন, আমি আরিফ’কে কাজ পাইয়ে দিয়ে’ছি বা ‘দিতা’ম এগুলো একে’বারে মিথ্যা কথা। বরং জেকে’জির জা’ল সন’দ তৈরির কথা তিনি স্বা’স্থ্য অধি’দপ্তরের ডি’জিকে জানি’য়ে’ছেন বলে দাবি করেন।
পুলিশ জানি’য়েছে, সাবরিনা ও আরিফ দম্প’তির প্রতিষ্ঠান জেকেজি থেকে করোনা পরীক্ষার জাল সনদ নিয়ে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে ফিরে এসে’ছেন। এতে করে বিদেশে’র মাটি’তে দেশের ভাব’মূর্তি ক্ষু’ণ্ন হয়েছে।
হাজার হাজার মানু’ষকে জাল পজে’টিভ নেগেটিভ ভুয়া সনদ দেয়া হয়েছে। সত্যিকারের পজেটিজ রোগী পে’য়েছে নেগে’টিভ সনদ। আর নেগেটিভ রোগী পেয়েছে পজে’টিভ সনদ। এতে সংক্র’মণ ছড়ি’য়েছে ব্যাপক’ভাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করো’না নমু’না সংগ্রহের জন্য তিতু’মীর কলেজে ১টি বুথ স্থাপ’নের অনুমতি নিয়ে তারা দেশের বিভি’ন্ন স্থানে অবৈধভাবে ৪০টি বুথ স্থা’পন করে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
ঢা’কার বিভিন্ন স্থান থেকে শুরু করে ঢাকা’র বাইরে নারা’য়ণগঞ্জ, নরসিং’দী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকেও মা’ঠকর্মী পাঠিয়ে বুথ স্থাপন করে নমুনা সংগ্রহ করতো। আ’বার তাদের হটলা’ইন নম্বরে রো’গীরা ফোন দিলে মাঠকর্মী’রা বাড়ি গিয়েও নমুনা সং’গ্রহ করতেন।
আবার অ’নেককে জেকেজি’র বুথের ঠিকানা দেয়া হতো। এভা’বে ক’র্মীরা প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মা’নুষের নমু’না সংগ্রহ করতে’ন। পরে তাদে’র গুল’শানে’র একটি ভব’নের ১৫ তলার অফি’সের একটি ল্যা’পটপ থেকে ভুয়া সনদ দিতো। ওই ল্যাপটপ থেকে জে’কে’জির ক’র্মীরা রা’তদিন শুধু জাল রি’পোর্ট তৈরির কা’জ করতেন।
সংশ্লি’ষ্ট সূত্র জানি’য়েছে, স’রকারি চাকরি করেও তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে নিজের প্র’তিষ্ঠা’নের জন্য কাজ বাগাতে’ন। এর বা’ইরে নানা অনৈ’তিক কর্মকা’ণ্ড, বিশি’ষ্টজনে’র নাম ভাঙিয়ে ফায়দা নেয়া, হুমকি-ধমকি, স’ন্ত্রাসী বাহি’নী লালন-পা’লন’সহ নানা অভি’যোগ রয়ে’ছে। জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরী গ্রে’প্তারের পর থেকেই নিজের গ্রে’প্তার এড়াতে বিভি’ন্ন স্থানে তদবির কর’ছিলেন সাব’রিনা।
‘
আই’নশৃঙ্খ’লা বাহিনী থেকে শুরু করে সরকারদ’লীয় নেতা, চিকিৎসক নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কেউ কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে’ছেন। পুলিশের সূত্রগুলো জা’নিয়ে’ছে, সাবরিনা গ্রে’প্তার এড়াতে প্রভাব সৃষ্টি ক’রেছি’লেন। রোববার তিনি ডিসি কা’র্যাল’য়ে আসার পর গ্রেপ্তা’র হবেন সেটি ভাবে’ননি। যখন তিনি জান’তে পারেন তাকে গ্রেপ্তা’র করা হবে তখন তিনি কিছু’টা বি’মর্ষ হয়ে পড়েন।
অ’নুস’ন্ধানে জা’না যায়, ডা. সাবরিনা চৌধু’রী নিজে’কে দেশের প্রথম নারী কা’র্ডিয়াক সার্জন হিসেবে দাবি করে আস’ছিলে’ন। কিন্তু প্রকৃ’ত’পক্ষে তিনি দেশের প্রথম নারী কা’র্ডিয়াক সার্জ’ন নন। সাব’রিনা দাবি করেছেন জেকে’জির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃ’ক্ততা নেই। এটি ও’ভাল গ্রুপের একটি অঙ্গ’সংগঠ’ন। কিন্তু প্রা’য়ই তিনি জেকেভির চেয়ার’ম্যান হয়ে বিভি’ন্ন টে’লিভি’শনের অনুষ্ঠা’নে অংশ নিতে’ন।
এদিকে ডা. সাবরিনা’কে গ্রে’প্তারের পর পুলিশের তে’জগাঁও ডিভিশনের উপ-কমিশনার হারুন অর র’শীদ সাংবাদিক’দের বলেন, জেকেজি গ্রুপের সদ’স্য হুমা’য়ুন কবির হিমু এবং তার স্ত্রী তা’নজি’নাকে আমরা সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার করি। তারা আ’মাদের কা’ছে স্বী’কার করে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে বাসায় নিয়ে আসে। বিনি’ময়ে তারা দেশি মা’নুষের কাছ থেকে ৫ হাজার ও বিদেশির কাছ থেকে ১০০ ডলা’র নেন। পরে নমুনাগু’লো সুবি’ধা’জনক স্থানে ফেলে দেন। হিমু গ্রা’ফিক্স ডিজা’ইনার। সে সার্টি’ফিকেট তৈরি করে মেইলে পাঠিয়ে দিতো। কোর্টে তারা স্বী’কারো’ক্তি দি’য়েছে তারা জেকেজি গ্রু’পের সদস্য। তাদের তথ্যের ভিত্তি’তেই আমরা প’রের দিন জেকে’জির গুলশা’নের অ’ফিসে যাই।
সেখান থেকে জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরীসহ আরো’ চা’রজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের কাছ থেকেও আ’মরা নকল সার্টিফি’কেট, ভুয়া করোনা টেস্টের ‘আলামত জ’ব্দ করে আনি। আরি’ফকে থানায় এনে জিজ্ঞা’সাবাদ করে জানতে পারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী। বাকি পাঁচজনও একই কথা বলেছে। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য সময় নিচ্ছিলাম। কারণ তিনি একজন সর’কারি ডাক্তার।
রোববার আ’মরা তাকে জিজ্ঞাসা ক’রলাম- তিনি চেয়ারম্যান কিনা। তিনি বললেন, তিনি কখনই চেয়ার’ম্যান ছিলেন না। তখন বললাম, আমরা যেদিন দু’জনকে গ্রে’প্তার করলাম তখন আপনাকে চেয়ারম্যান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত তিতুমী’র কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনি জেকেজির পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বললেন চেয়ারম্যান হিসেবে। তখন তিনি বলেন, এটা আমার হাজবেন্ড আমাকে বলতে বলছে। এভাবে তাকে আরো বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছিল।
তিনি কোনো প্র’শ্নের স’দুত্তর দিতে পা’রেননি। যার কারণে তাকে আমরা গ্রে’প্তার ‘দেখিয়েছি। আমরা মনে করি তিনি চেয়া’রম্যান হিসেবে এই কোম্পানির মাধ্যমে মানুষকে ক্ষ’তিগ্র’স্ত করে’ছেন, নেগে’টিভকে পজেটি’ভ আবার প’জেটি’ভকে নেগেটিভ বানিয়েছেন। হাজার মানু’ষের সঙ্গে প্রতা’রণা করেছেন, সারা দেশে সংক্র’মণ ছড়ি’য়েছেন, বিদে’শের মা’টিতে বাংলাদেশের ভাব’মূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। বিদেশ থেকে এসব জাল সনদ নিয়ে মানুষ ফিরে এসেছে। এজন্য’ই আ’মরা তাকে গ্রে’প্তার করে কোর্টে হাজির ক’রে রি’মান্ড চাইবো। রি’মা’ন্ডে আ’মরা আরো তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এদের সঙ্গে যদি আরো কেউ জ’ড়িত থাকে তাদের বি’রুদ্ধে আই’নগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাকে ক’য়টি মাম’লায় গ্রেপ্তার দে’খানো হবে সাংবা’কদের এমন প্রশ্নের জ’বাবে তিনি বলেন, আ’পাতত আ’মরা তাকে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাবো। তবে রিমা’ন্ডে এনে জিজ্ঞাসা’বাদ করে যদি মনে হয় তিনি আরো কোনো অপরা’ধের সঙ্গে জড়ি’ত আছে তবে ‘সেক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিসি হা’রুন বলেন, যেহে’তু তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা তাই তিনি কখনই আ’রেকটি বেসরকা’রি প্রতিষ্ঠা’নের চেয়ারম্যান থাক’তে পারেন না। আর মুখপাত্র হিসে’বে বক্তব্য দিতে পারেন না। তার স্বামীও ইচ্ছা কর’লেই তাকে চেয়া’রম্যান পদবি থেকে বহি’ষ্কার করতে পারেন না। এছাড়া তিনি ফে’সবুকে ও তিতুমীর কলেজের ঘটনায় যে বক্ত’ব্য দি’য়েছেন একজন সর’কারি কর্মক’র্তা হিসেবে মোটে’ও সম্ভ’ব না। এটার দায় তিনি এড়াতে পারেন না।
জাতীয় হৃ’দরোগ ইনস্টি’টিউটের একাধিক চিকিৎসক-কর্মক’র্তা জানান, সার্জা’রি বিভা’গের এক চিকিৎস’কের সঙ্গে ডা. সাব’রিনার অ’নৈ’তিক সম্প’র্ক নিয়ে তার স্বা’মী আরিফ চৌধুরী ক্ষুব্ধ ছি’লেন। ওই চি’কিৎসক বিএমএর নেতা। সাব’রিনা’কে একদিন এক চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কা’টানো অব’স্থায় পেয়ে’ছেন আরিফ চৌধুরী। পরে আ’রি’ফের মার’ধরে’র শিকার হন ডা. সাবরিনা ও ওই চি’কিৎসক। এ ঘট’নায় ডা. সাবরিনা ও ওই চিকিৎসক শেরে’বাংলা নগর থানায় পৃথক দুটি জি’ডিও করেন।
অভিযো’গ আছে, স’হকর্মী একা’ধিক চিকিৎসকের সঙ্গে তার অ’নৈতি’ক সম্প’র্ক ছিল। এছাড়াও সাবরি’নার আরো অনে’কের সঙ্গে ঘনি’ষ্ঠ সম্প’র্কে’র খবর মি’লেছে। এসব কার’ণেই আ’রিফের সঙ্গে তার সম্প’র্ক ভালো যাচ্ছি’ল না। প্রায়’ই তা’দের মধ্যে ম’নোমা’লিন্য ঝগ’ড়া’ঝাটি লেগেই থাকতো। আরি’ফ চৌধুরী’র চতুর্থ স্ত্রী হিসা’বেই সাবরিনা পরিচিত। আরি’ফের দুই স্ত্রী থা’কেন রা’শিয়া ও লন্ডনে। আর আরে’কজ’নের সঙ্গে তার ছাড়া’ছাড়ি হয়ে গেছে।
অবশেষে ডা. সাব’রিনা চৌধুরী পুলি’শের কব্জায়। জাতীয় হৃদ’রোগ ই’নস্টিটিউ’টের এই কার্ডিয়াক সার্জন করো’নার ভু’য়া টেস্টের মা’ধ্যমে আট কোটি টাকা হা’তিয়ে নিয়েছেন এ অ’ভিযোগ ছিল আগে থেকে। জেকে’জি হেলথ কে’য়ার না’মের একটি প্রতি’ষ্ঠানের মাধ্যমে ২৭ হাজার মানু’ষের নুমনা সংগ্রহ করে ১৫ হাজার ৪৬০টি জাল স’নদ দিয়ে এ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। আর এ অভি’যোগে’ই রোববার (১২ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলি’টন পুলিশের তে’জগাঁও ডিভি’শনের উপ কমিশনার (ডিসি) কা’র্যাল’য়ে জিজ্ঞা’সাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তা’র দেখা’নো হয়েছে। পরে তাকে তেজগাঁও থানা হা’জতে রাখা হয়।
প্র’তার’ণার যে মা’মলায় তাকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে সোম’বার সকালে ওই মা’ম’লায় রি’মান্ড আবে’দন করা হবে। গ্রেপ্তারের পর জাতীয় হৃদ’রোগ ইনস্টিটিউট থেকে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে ২৩শে জুন জেকে’জির সাবেক দুই কর্মী হুমায়ুন কবি’র হিমু ও তার স্ত্রী সিস্টার তানজি’নাকে ক’রো’না প’রীক্ষার জাল রিপোর্ট তৈরি’র অভি’যোগে গ্রে’প্তার করে পুলিশ।
তাদে’র দেয়া তথ্য মতেই জে’কেজির গু’লশা’নের অফি’সে অভি’যান চালি’য়ে ডা. সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠা’নের আরো কয়ে’কজন ক’র্মচা’রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে জি’জ্ঞাসাবা’দ করে পু’লিশ জানতে পারে জে’কেজির সিই্ও হলেন আ’রিফ চৌধুরী ও চেয়ার’ম্যান ডা. সা’বরিনা চৌ’ধুরী। যদিও আরিফ চৌ’ধুরীসহ অন্যরা গ্রে’প্তারে’র পর থেকে সাবরিনা চৌধুরী নিজেকে এই প্রতিষ্ঠা’নের কেউ না বলে দাবি করে আসছিলেন। কিন্তু পু’লিশ ব্যাপক ত’দন্ত ও নানা তথ্য-উপাত্ত বি’শ্লেষণ করে জান’তে পারে জে’কেজির সঙ্গে সাব’রিনার সং’শ্লি’ষ্টতা রয়েছে। এরই প্রে’ক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তা’র করা হয়েছে।
প্রতারণা মা’মলা’র ত’দন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মক’র্তারা জানি’য়েছেন, শুরু থেকেই ডা. সাব’রিনা দায় এড়ানোর চেষ্টা করছি’লেন। জেকে’জির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃ’ক্ত’তা নেই বলে দাবি করে আস’ছিলেন। বিভিন্ন গণ’মাধ্যমেও সাফ বলে’ছেন তিনি জে’কে’জির কেউ না। কিন্তু ব্যাপক তদ’ন্তের মাধ্য’মে এটা আগে থেকেই নি’শ্চিত হওয়া যায় সর’কারি চা’করির পা’শাপা’শি তিনি জেকে’জির চে’য়ার’ম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন কর’ছি’লেন। এমনি প্রায় ২৭ হাজার মা’নুষের সঙ্গে তিনি প্রতা’রণা করেছেন। ক’রোনা’র জাল সন’দ তৈরি করে ইচ্ছেমতো প’জেটি’ভ ‘নেগে’টিভ রেজাল্ট দিয়ে’ছেন তার প্রতিষ্ঠা’নের কর্মীরা।
তিনি এসব বিষয়ে অবগ’ত ছিলেন। এছাড়া তার এমন কিছু কর্মকাণ্ড রয়েছে যেগুলো থেকে নিশ্চিত হয়েছে তিনি এই প্রতি’ষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তিতু’মীর ক’লেজের চতুর্থ শ্রেণির ক’র্মচারী ও সাধার’ণ শিক্ষা’র্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি নিজে উপ’স্থিত থেকে প্রতিষ্ঠানের চেয়া’রম্যান হিসেবে বক্ত’ব্য দিয়েছেন। সামা’জিক যোগা’যোগ মাধ্য’মেও স্ট্যাটা’স দিয়েছেন। এসব বিষ’য় তদ’ন্ত করে তার সম্পৃক্ততার প্র’মাণ মি’লেছে। এছাড়া তার স্বামী, অ’ফিসের ক’র্মচারীর ব’ক্তব্য, ফাই’লপ’ত্রে তিনি যে প্রতিষ্ঠা’নের সম্পৃক্ত তার প্রমাণ মিলেছে।
এদিকে রোব’বার পুলিশের জি’জ্ঞাসা’বাদের আগে জেকে’জির সিইও আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে তার যোগসাজশ নেই ব’লে দাবি করে সাবরি’না বলেন, আরি’ফের সঙ্গে তিনি আর সংসার করছেন না। আরিফ চৌ’ধুরী এ মু’হূর্তে তার স্বা’মী নন। তারা আ’লাদা থা’কছেন। আ’রিফকে তিনি ডি’ভোর্স লেটার পা’ঠিয়ে’ছেন। কার্যকর হতে দুই মাস সময় লাগবে। তিনি ব’লেছেন, জে’কেজি’র চেয়ার’ম্যান হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটি ওভা’ল গ্রু’পের একটি অঙ্গ’সংগঠ’ন। আর ওভাল গ্রুপ একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যার মা’লিক আরিফ চৌধুরী। অভি’যোগে’র বিষয়ে তার ব্যা’খ্যা জা’নতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জে’কেজির চেয়ারম্যান নই। আপনা’রা আগে কাগ’জ দেখান, তারপর আমা’র ব্যাখ্যা চান।
তিনি বলেন, জয়ে’ন্ট স্টকে আপ’নারা খবর নেন। আমি কোনো কোম্পা’নির চেয়া’রম্যা’ন নই। আমি জে’কেজির স্বা’স্থ্যকর্মী’দের ট্রেনিং দিতাম। আমি শু’ধু ট্রেনিং সেন্টার পর্যন্ত যেতাম। জে’কেজির সাইন’বো’র্ডে তার নামের শেষে আরি’ফ চৌধুরীর নামের শে’ষাংশ যুক্ত আছে- এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমনও তো হতে পারে এটা আ’মার আস’ল নাম না। ফে’সবু’কীয় নাম। এটা এখনো পরি’বর্তন করা হয়’নি। দ্রুতই করবো।
আমি কোনো অনৈ”তিক কাজ করিনি। আজকে কেন জীব’নেও করিনি। আমি এ বিষয়ে ক’নফিডেন্ট। সাবরিনা বলেন, আমি আরিফ’কে কাজ পাইয়ে দিয়ে’ছি বা ‘দিতা’ম এগুলো একে’বারে মিথ্যা কথা। বরং জেকে’জির জা’ল সন’দ তৈরির কথা তিনি স্বা’স্থ্য অধি’দপ্তরের ডি’জিকে জানি’য়ে’ছেন বলে দাবি করেন।
পুলিশ জানি’য়েছে, সাবরিনা ও আরিফ দম্প’তির প্রতিষ্ঠান জেকেজি থেকে করোনা পরীক্ষার জাল সনদ নিয়ে প্রবাসীরা বিদেশ থেকে ফিরে এসে’ছেন। এতে করে বিদেশে’র মাটি’তে দেশের ভাব’মূর্তি ক্ষু’ণ্ন হয়েছে।
হাজার হাজার মানু’ষকে জাল পজে’টিভ নেগেটিভ ভুয়া সনদ দেয়া হয়েছে। সত্যিকারের পজেটিজ রোগী পে’য়েছে নেগে’টিভ সনদ। আর নেগেটিভ রোগী পেয়েছে পজে’টিভ সনদ। এতে সংক্র’মণ ছড়ি’য়েছে ব্যাপক’ভাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করো’না নমু’না সংগ্রহের জন্য তিতু’মীর কলেজে ১টি বুথ স্থাপ’নের অনুমতি নিয়ে তারা দেশের বিভি’ন্ন স্থানে অবৈধভাবে ৪০টি বুথ স্থা’পন করে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
ঢা’কার বিভিন্ন স্থান থেকে শুরু করে ঢাকা’র বাইরে নারা’য়ণগঞ্জ, নরসিং’দী ও গাজীপুরের বিভিন্ন স্থান থেকেও মা’ঠকর্মী পাঠিয়ে বুথ স্থাপন করে নমুনা সংগ্রহ করতো। আ’বার তাদের হটলা’ইন নম্বরে রো’গীরা ফোন দিলে মাঠকর্মী’রা বাড়ি গিয়েও নমুনা সং’গ্রহ করতেন।
আবার অ’নেককে জেকেজি’র বুথের ঠিকানা দেয়া হতো। এভা’বে ক’র্মীরা প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মা’নুষের নমু’না সংগ্রহ করতে’ন। পরে তাদে’র গুল’শানে’র একটি ভব’নের ১৫ তলার অফি’সের একটি ল্যা’পটপ থেকে ভুয়া সনদ দিতো। ওই ল্যাপটপ থেকে জে’কে’জির ক’র্মীরা রা’তদিন শুধু জাল রি’পোর্ট তৈরির কা’জ করতেন।
সংশ্লি’ষ্ট সূত্র জানি’য়েছে, স’রকারি চাকরি করেও তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে নিজের প্র’তিষ্ঠা’নের জন্য কাজ বাগাতে’ন। এর বা’ইরে নানা অনৈ’তিক কর্মকা’ণ্ড, বিশি’ষ্টজনে’র নাম ভাঙিয়ে ফায়দা নেয়া, হুমকি-ধমকি, স’ন্ত্রাসী বাহি’নী লালন-পা’লন’সহ নানা অভি’যোগ রয়ে’ছে। জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরী গ্রে’প্তারের পর থেকেই নিজের গ্রে’প্তার এড়াতে বিভি’ন্ন স্থানে তদবির কর’ছিলেন সাব’রিনা।
‘
আই’নশৃঙ্খ’লা বাহিনী থেকে শুরু করে সরকারদ’লীয় নেতা, চিকিৎসক নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কেউ কেউ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে’ছেন। পুলিশের সূত্রগুলো জা’নিয়ে’ছে, সাবরিনা গ্রে’প্তার এড়াতে প্রভাব সৃষ্টি ক’রেছি’লেন। রোববার তিনি ডিসি কা’র্যাল’য়ে আসার পর গ্রেপ্তা’র হবেন সেটি ভাবে’ননি। যখন তিনি জান’তে পারেন তাকে গ্রেপ্তা’র করা হবে তখন তিনি কিছু’টা বি’মর্ষ হয়ে পড়েন।
অ’নুস’ন্ধানে জা’না যায়, ডা. সাবরিনা চৌধু’রী নিজে’কে দেশের প্রথম নারী কা’র্ডিয়াক সার্জন হিসেবে দাবি করে আস’ছিলে’ন। কিন্তু প্রকৃ’ত’পক্ষে তিনি দেশের প্রথম নারী কা’র্ডিয়াক সার্জ’ন নন। সাব’রিনা দাবি করেছেন জেকে’জির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃ’ক্ততা নেই। এটি ও’ভাল গ্রুপের একটি অঙ্গ’সংগঠ’ন। কিন্তু প্রা’য়ই তিনি জেকেভির চেয়ার’ম্যান হয়ে বিভি’ন্ন টে’লিভি’শনের অনুষ্ঠা’নে অংশ নিতে’ন।
এদিকে ডা. সাবরিনা’কে গ্রে’প্তারের পর পুলিশের তে’জগাঁও ডিভিশনের উপ-কমিশনার হারুন অর র’শীদ সাংবাদিক’দের বলেন, জেকেজি গ্রুপের সদ’স্য হুমা’য়ুন কবির হিমু এবং তার স্ত্রী তা’নজি’নাকে আমরা সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার করি। তারা আ’মাদের কা’ছে স্বী’কার করে রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে বাসায় নিয়ে আসে। বিনি’ময়ে তারা দেশি মা’নুষের কাছ থেকে ৫ হাজার ও বিদেশির কাছ থেকে ১০০ ডলা’র নেন। পরে নমুনাগু’লো সুবি’ধা’জনক স্থানে ফেলে দেন। হিমু গ্রা’ফিক্স ডিজা’ইনার। সে সার্টি’ফিকেট তৈরি করে মেইলে পাঠিয়ে দিতো। কোর্টে তারা স্বী’কারো’ক্তি দি’য়েছে তারা জেকেজি গ্রু’পের সদস্য। তাদের তথ্যের ভিত্তি’তেই আমরা প’রের দিন জেকে’জির গুলশা’নের অ’ফিসে যাই।
সেখান থেকে জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরীসহ আরো’ চা’রজনকে গ্রেপ্তার করি। তাদের কাছ থেকেও আ’মরা নকল সার্টিফি’কেট, ভুয়া করোনা টেস্টের ‘আলামত জ’ব্দ করে আনি। আরি’ফকে থানায় এনে জিজ্ঞা’সাবাদ করে জানতে পারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী। বাকি পাঁচজনও একই কথা বলেছে। তারই প্রেক্ষিতে আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য সময় নিচ্ছিলাম। কারণ তিনি একজন সর’কারি ডাক্তার।
রোববার আ’মরা তাকে জিজ্ঞাসা ক’রলাম- তিনি চেয়ারম্যান কিনা। তিনি বললেন, তিনি কখনই চেয়ার’ম্যান ছিলেন না। তখন বললাম, আমরা যেদিন দু’জনকে গ্রে’প্তার করলাম তখন আপনাকে চেয়ারম্যান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত তিতুমী’র কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনি জেকেজির পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বললেন চেয়ারম্যান হিসেবে। তখন তিনি বলেন, এটা আমার হাজবেন্ড আমাকে বলতে বলছে। এভাবে তাকে আরো বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছিল।
তিনি কোনো প্র’শ্নের স’দুত্তর দিতে পা’রেননি। যার কারণে তাকে আমরা গ্রে’প্তার ‘দেখিয়েছি। আমরা মনে করি তিনি চেয়া’রম্যান হিসেবে এই কোম্পানির মাধ্যমে মানুষকে ক্ষ’তিগ্র’স্ত করে’ছেন, নেগে’টিভকে পজেটি’ভ আবার প’জেটি’ভকে নেগেটিভ বানিয়েছেন। হাজার মানু’ষের সঙ্গে প্রতা’রণা করেছেন, সারা দেশে সংক্র’মণ ছড়ি’য়েছেন, বিদে’শের মা’টিতে বাংলাদেশের ভাব’মূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। বিদেশ থেকে এসব জাল সনদ নিয়ে মানুষ ফিরে এসেছে। এজন্য’ই আ’মরা তাকে গ্রে’প্তার করে কোর্টে হাজির ক’রে রি’মান্ড চাইবো। রি’মা’ন্ডে আ’মরা আরো তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এদের সঙ্গে যদি আরো কেউ জ’ড়িত থাকে তাদের বি’রুদ্ধে আই’নগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাকে ক’য়টি মাম’লায় গ্রেপ্তার দে’খানো হবে সাংবা’কদের এমন প্রশ্নের জ’বাবে তিনি বলেন, আ’পাতত আ’মরা তাকে প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাবো। তবে রিমা’ন্ডে এনে জিজ্ঞাসা’বাদ করে যদি মনে হয় তিনি আরো কোনো অপরা’ধের সঙ্গে জড়ি’ত আছে তবে ‘সেক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডিসি হা’রুন বলেন, যেহে’তু তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা তাই তিনি কখনই আ’রেকটি বেসরকা’রি প্রতিষ্ঠা’নের চেয়ারম্যান থাক’তে পারেন না। আর মুখপাত্র হিসে’বে বক্তব্য দিতে পারেন না। তার স্বামীও ইচ্ছা কর’লেই তাকে চেয়া’রম্যান পদবি থেকে বহি’ষ্কার করতে পারেন না। এছাড়া তিনি ফে’সবুকে ও তিতুমীর কলেজের ঘটনায় যে বক্ত’ব্য দি’য়েছেন একজন সর’কারি কর্মক’র্তা হিসেবে মোটে’ও সম্ভ’ব না। এটার দায় তিনি এড়াতে পারেন না।
COMMENTS