প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর গত ২২ জুন থেকে সীমিত আকারে খুলেছে সিলেটের হোটেল-রিসোর্ট। দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে আসন্ন ঈদে ব্যবসার স্বপ্ন দেখছিলেন এ উদ্যোক্তারা। তবে সেই আশায়ও গুড়েবালি। আসন্ন কোরবানির ঈদেও বন্ধ থাকছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে ঈদ মৌসুমেও যথারীতি ফাঁকা থাকবে সিলেটের হোটেল-রিসোর্টগুলো।
জানা যায়, পর্যটন নগরীখ্যাত সিলেটে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে দুই ঈদে তা বেড়ে যায় বহুগুণ। কোনো হোটেল-মোটেল-রিসোর্টেই কক্ষ খালি পাওয়া যায় না তখন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত চার মাস বন্ধ ছিল সিলেটের হোটেল-রিসোর্টগুলো। অবশেষে ২২ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে হোটেলগুলো খোলার অনুমতি দেয় সিলেটের জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে প্রতিষ্ঠান খুললেও অতিথিরা আসছেন না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ফাঁকাই পড়ে থাকছে হোটেল। ঈদ মৌসুমে ব্যবসার স্বপ্ন দেখলেও সেটিও এবার হচ্ছে না।
সিলেটের জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, লালাখাল, পাংথুমাই পর্যটন কেন্দ্র সারা দেশের পর্যটকদের কাছেই আকর্ষণীয়। দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই এসব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়। এ ঈদেও সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, গত ঈদের মতোই এবারের ঈদে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটক সমাগমে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। জেলা কভিড-১৯ বিষয়ক কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আপাতত হোটেল-মোটেলগুলো সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে কভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটন স্পট চালু করা যাবে না।
সিলেটে পর্যটক সমাগম বাড়তে থাকায় গত এক দশকে এ খাতে ব্যবসারও বিপুল প্রসার হয়েছে। বেসরকারিভাবে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে পর্যটন খাতে। গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে অভূতপূর্ব সংকটে পড়েছে এ খাত। অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ারও চিন্তা করছেন। সিলেটের হোটেল-মোটেল খাতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেটে হোটেল ও গেস্ট হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুমাত নুরী জুয়েল বলেন, বর্তমান করোনা মহামারীর কারণে চার মাস ধরে প্রায় সব হোটেল-মোটেল বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় কর্মচারীদের বেতন, ইউটিলিটি বিল এসব চালিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। বাধ্য হয়েই অনেক কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে আমাদের। এমন অবস্থায় ঈদের আগে হোটেল-মোটেল খুলে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়, তাতে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। এখন যদি ঈদে পর্যটক না আসেন, তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর উপায় দেখি না।
এ প্রসঙ্গে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, পর্যটন সিলেটের একটি সম্ভাবনাময় খাত। বর্তমান করোনা মহামারীকালে পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ঈদে পর্যটক আগমনের কথা মাথায় নিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। এমন অবস্থায় যদি সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় নিষেধাজ্ঞা থাকে তবে দ্বিতীয় দফা ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, পর্যটন নগরীখ্যাত সিলেটে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে দুই ঈদে তা বেড়ে যায় বহুগুণ। কোনো হোটেল-মোটেল-রিসোর্টেই কক্ষ খালি পাওয়া যায় না তখন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত চার মাস বন্ধ ছিল সিলেটের হোটেল-রিসোর্টগুলো। অবশেষে ২২ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে হোটেলগুলো খোলার অনুমতি দেয় সিলেটের জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে প্রতিষ্ঠান খুললেও অতিথিরা আসছেন না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ফাঁকাই পড়ে থাকছে হোটেল। ঈদ মৌসুমে ব্যবসার স্বপ্ন দেখলেও সেটিও এবার হচ্ছে না।
সিলেটের জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, লালাখাল, পাংথুমাই পর্যটন কেন্দ্র সারা দেশের পর্যটকদের কাছেই আকর্ষণীয়। দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই এসব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়। এ ঈদেও সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিলেটের জেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম বলেন, গত ঈদের মতোই এবারের ঈদে পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় পর্যটক সমাগমে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। জেলা কভিড-১৯ বিষয়ক কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আপাতত হোটেল-মোটেলগুলো সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে। তবে কভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটন স্পট চালু করা যাবে না।
সিলেটে পর্যটক সমাগম বাড়তে থাকায় গত এক দশকে এ খাতে ব্যবসারও বিপুল প্রসার হয়েছে। বেসরকারিভাবে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে পর্যটন খাতে। গড়ে উঠেছে অসংখ্য হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে অভূতপূর্ব সংকটে পড়েছে এ খাত। অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ারও চিন্তা করছেন। সিলেটের হোটেল-মোটেল খাতে প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেটে হোটেল ও গেস্ট হাউজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুমাত নুরী জুয়েল বলেন, বর্তমান করোনা মহামারীর কারণে চার মাস ধরে প্রায় সব হোটেল-মোটেল বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় কর্মচারীদের বেতন, ইউটিলিটি বিল এসব চালিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। বাধ্য হয়েই অনেক কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে আমাদের। এমন অবস্থায় ঈদের আগে হোটেল-মোটেল খুলে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়, তাতে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। এখন যদি ঈদে পর্যটক না আসেন, তাহলে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া ছাড়া আর উপায় দেখি না।
এ প্রসঙ্গে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, পর্যটন সিলেটের একটি সম্ভাবনাময় খাত। বর্তমান করোনা মহামারীকালে পর্যটন খাতের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ঈদে পর্যটক আগমনের কথা মাথায় নিয়ে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। এমন অবস্থায় যদি সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় নিষেধাজ্ঞা থাকে তবে দ্বিতীয় দফা ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
COMMENTS