এম এ কবির।। আধুনিক ও জনকল্যাণমূলক মহানগরী বিনির্মাণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত এক সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টা্ল বল রুমে সভার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, দেশটা একটা ছাতার মতো। এখানে সিটি করপোরেশন আছে, পৌরসভা আছে, রাজউক আছে, পূর্ত মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় আছে। করপোরেশন বলছে খাল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা তাদের কাছে হস্তান্তর করতে। আমাকে এমনভাবে দিতে হবে যাতে করে সিটি করপোরেশন কাজ করতে পারে। সিটি করপোরেশনের কোথায় কোথায় সহযোগিতা প্রয়োজন, সক্ষমতা কোথায় বাড়াতে হবে তা দেখতে হবে। সারা পৃথিবীতে করপোরেশন অবশ্য এই কাজ করছে।
শেখ ফজলে নূর তাপস – মাননীয় মেয়র দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এবং আতিকুল ইসলাম মাননীয় মেয়র উত্তর সিটি কর্পোরেশন দুজনেই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে উন্নয়ন কর্মশালা গুলো শেষ করতে আহ্বান করেন। এতে জনদূর্ভোগ কমবে এবং সস্তি ফিরে আসবে বলেও জানায়।
ডিএসসিসি'র উন্নয়ন কার্যক্রমের সাথে অন্যান্য সংস্থার কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি এড়াতে ঢাকা কেন্দ্রিক সকল উন্নয়ন প্রকল্প সিটি করপোরেশনের সাথে সমন্বয় করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কোন সংস্থা সমন্বয়ে না এলে সেই সংস্থাকে তাদের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের নগর পিতা।
সময় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো তাজুল ইসলাম এমপি'র প্রতি পপুলেশন প্ল্যানিং করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ শহরেও পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা সম্বলিত নগরায়ন সৃষ্টি করা গেলে ঢাকার উপর চাপ কমবে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সবুর, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের সভাপতি জালাল আহমেদ, ভলিউম জিরো লিমিটেডের স্থপতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, ভিত্তি স্থাপাতিবৃন্দ লিমিটেডের পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নিবার্হী অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের সভাপতি ড. আকতার মাহমুদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এর ড্রেনেজ বিশেষজ্ঞ মোঃ জাহিদ হাসান সিদ্দিকী, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ এস্রাজ উল জান্নাত, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্সের নগর ব্যবস্থাপনা ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ রাসেল কবির, ওয়েস্ট কনসার্ন এর নির্বাহী পরিচালক আবু হাসনাত মোহাম্মদ মাকসুদ সিনহা, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আ স ম হামিদুর রহমান, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদ আখতারুজ্জামান প্রমুখ নিজ নিজ অভিমত তুলে ধরেন।
COMMENTS