জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদদের স্মরণে গাজীপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর মহানগর যুবলীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. কামরুল আহসান সরকার রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে সব থেকে বর্বরতম ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ বর্বরোচিত ঘটনায় যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন শুধু তাদেরকে বিচারের আওতায় আনলে হবে না। যারা এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন, পর্দার আড়াল থেকে যাবতীয় কলকাঠি নেড়েছিলেন সেই কুশীলবদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।তিনি বলেন, মেজর জিয়া ও তার দোসররা নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার উন্নয়ন দর্শনের কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিল দেশের যুবসমাজ। তিনি দেশের প্রতিটি সংকটকালীন মূহুর্তে, আন্দোলন সংগ্রামে, যুব সমাজকে সাথে নিয়ে দেশ মাতৃকার মুক্ত করতে ঝাপিয়ে পড়েন।ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, শিক্ষা আন্দোলন, ছয়দফা, গনঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের যুবসমাজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। তিনি যুবসমাজকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন, অ্যাডভোকেট মো. ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ নয়ন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাদী শামীম, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ ও যুবলীগ নেতা রাহাত খান প্রমুখ।
সভা শেষে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের স্মরণে দোয়া করা হয় ও তবারক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS