‘ক্রীড়াঙ্গনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু’

 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাফুফে ও বিসিবি গঠন করেছিলেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব স্পোর্টস যা আজকের বিকেএসপি, প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তার গৃহীত এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আজ সুদৃঢ় হয়েছে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রক্তাক্ত যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জিত হলেও তার জন্য বাংলাদেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হয়। বলতে গেলে শূন্যহাতে শুরু হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা। সেই অবস্থায় ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নজর দেয়ার সুযোগ ছিল খুবই কঠিন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়াঙ্গনকে পুণর্গঠন করার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু। খেলাধুলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালেই যাত্রা শুরু করে ‘জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা’। দুই ধাপে গড়ে তোলা হয় ৩৪টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থা। অনুমোদন দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে।’

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এসব পদক্ষেপেই ফেডারেশনগুলোর সক্রিয়তায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায় ক্রীড়াঙ্গন। বিদেশি ক্রীড়া দল খেলতে আসে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ দলও বিদেশে খেলতে যায় । ক্রীড়াবিদদের সহযোগিতা করার জন্য বঙ্গবন্ধু গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতিনিয়ত কর্মব্যস্ত থাকলেও খেলার মাঠের আমন্ত্রণ তিনি এড়াতে পারতেন না। ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে তাঁর অনেক পরিকল্পনা, অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু খুনী জিয়া ও তার দোসরদের ষড়যন্ত্রে সব থমকে যায়।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যে মানুষটি সারাজীবন গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে গেলেন, এক যুগের বেশি সময় জেল খাটলেন। সেই মহান ব্যক্তিত্বকে সপরিবারে কী নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। পৃথিবীর ইতিহাসে এ এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমি দেশে বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচারের রায় কার্যকরের জোর দাবি জানাই।’

জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম কুশীলব উল্লেখ করে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘মেজর জিয়া ও তার দোসররা বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের অন্যতম কুশীলব। আমি মনে করি, বিশ্বের ইতিহাসে সংগঠিত এই নিষ্ঠুরতম হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কারিগরদের বিচারের আওতায় আনার সময় এসেছে। আমার বিশ্বাস, জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে পারে তাঁর আজন্ম লালিত স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন সোনার বাংলা।’