
গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানার মাজুখান এলাকায় বাড়ির নারী মালিকের সহায়তায় ভাড়াটে এক কিশোরীকে (১৫) দলবদ্ধধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে শনিবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুবাইল থানায় মামলা করে। রাতেই পুলিশ অভিযান দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হলে আদালতের বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলেন- টঙ্গী পূর্ব থানার ফকির মার্কেট এলাকার মৃত আবদুল আলিমের ছেলে আবু হানিফ (৪৬) ও মাদারীপুরের কালকিনি থানার পূর্ব এনায়েত নগর গ্রামের ইস্কান্দার আলী সরদারের ছেলে শাহ আলম (৩৭)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুবাইল থানার এসআই জামিল উদ্দিন রাশেদ জানান, দরিদ্র ওই কিশোরী দুই মাস আগে মাজুখানের সেলিনা বেগমের বাসা ভাড়া নিয়ে একটি টেইলার্সে কাজ করতো। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির মালিক সেলিনা জোরপূর্বক কিশোরীকে অন্য একটি রুমে ঢুকায়।
আবু হানিফ ও শাহ আলম ওই রুমে অবস্থান করছিল। তারা রুমে দরজা আটকে জোরপূর্বক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে হানিফ ও শাহ আলম রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আরও দুজন পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেলিনা মেয়েটিকে রুম থেকে বের হতে বাধা দেয়।
শনিবার রাতে কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে কিশোরী পুবাইল থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করে। রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ আবু হানিফ ও শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে। তারা নাচ-গানের পেশায় জড়িত। নাচ-গানের সূত্র ধরে সম্পর্ক গড়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মেয়েদের শ্লীলতাহানি ঘটাতো বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির মালিক সেলিনা মাদক ব্যবসায়ী। তার বাড়ির রুম তিনটি। দুইটিতে দুই মেয়ে নিয়ে তিনি থাকতেন। একটি মাদক ব্যবসা ও সেবনের কাজে ব্যবহার করে। নির্যাতিতা অসহায় কিশোরী সেলিনার দুই মেয়ের সঙ্গে থাকত।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, বাড়ির মালিক সেলিনা খুবই খারাপ প্রকৃতির নারী। অসহায় মেয়েটি না জেনে বুঝে সেলিনার বাসায় ভাড়াটে হয়ে উঠে। এ ঘটনায় সেলিনাসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কিশোরী। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
COMMENTS