
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পৃথক নোটিশে জানানো হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়ার শিক্ষক ও প্রকৌশলীরা হলেন- ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াস এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতর থেকে দেয়া পৃথক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানকে বরখাস্ত করার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই অধ্যাপক প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফেসবুকে অশালীন ও চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এ কারণে প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের প্রতি কটূক্তি করায় সহকারী অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। চাকরিবিধি অনুযায়ী আদালতে সোপর্দ হওয়ার দিন থেকে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে তিনি পলাতক।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই শিক্ষকের অশালীন ও চরম আপত্তিজনক মন্তব্যের জন্য এবং তার নিরুদ্দেশ থাকার বিষয়টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়। তদন্ত শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২০৯তম সভায় শিক্ষক একেএম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়।
অপরদিকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অপর বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামসুদ্দীন ইলিয়াসকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলা’, ‘অসদাচরণ’ এবং ‘ নৈতিক স্খলন’ উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলা’, ‘অসদাচরণ’, ‘পলায়ন’ এবং ‘প্রতারণা’।
COMMENTS