স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গাজীপুর এর উদ্যোগে ‘শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার,যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-গাজীপুর’-এ আজ বিকেল ০৪:০০টায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, রক্তদান কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ ও শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এস এম তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, গাজীপুর, কামরুল আহসান রাসেল, আহবায়ক ,গাজীপুর মহানগর যুবলীগ উপস্থিত ছিলেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব আখতারুজ জামান খান কবির (অতিরিক্ত সচিব) অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ।
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি বিকেল ০৪:০০টায় ‘শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার,যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-গাজীপুর’-এ বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। বিকেল ৪:০৫টায় তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্সূচির উদ্বোধন করেন। এর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কর্মময় জীবনের উপর এবং শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এঁর কর্মময় জীবনের উপর ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ ঘাতকদের নির্মম বুলেটের বর্বোরোচিত আঘাতে ১৫ আগস্টে সকল শহিদ এবং শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভায় অতিথিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি বলেন- বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি অন্যায়ের সাথে কখনোই আপোষ করেননি। নানা ধরনের জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। তিনি সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস। তিনি সব সময় গরীব-দুঃখী অসহায় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতি তথা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ট্রো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ,ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, ধৈর্য্য ও অবিচলতার বিষয়ে গর্ব করে বলেছিলেন, “ আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবকে দেখেছি।” মানুষের মৌলিক অধিকার – খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানুষের অভাব- অনটন, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরণ এবং উন্নত জীবনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বদ্ধপরিকর ও অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। তিনি একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রতেকটি সেক্টরের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ফুল বাগানে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। জীবনের পুরোটা সময় এদশের মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যয় করা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ‘ সোনার বাংলা’ গড়তে। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ঘাতকদের নির্মম বুলেটের বর্বরোচিত আঘাতে সপরিবারে শহিদ হন। প্রধান অতিথি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত সকল শহিদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কময় এক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সংগঠিত হয় বিশ্বের ইতিহাসে সব চেয়ে বর্বোরোচিত নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। যা থেকে ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু, অবলা অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। দেশে না থাকার কারণে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান জাতির আশা-আকাঙ্খা ও উন্নয়নের প্রতীক আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। প্রধান অতিথি বলেন আজ বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু তাঁর আদর্শ ও স্বপ্ন বেঁচে আছে। বাংলাদেশ থেমে নেই , বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তাঁরই দেখানো পথে উন্নয়নের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার,যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে দেশকে ২০৪১সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য তরুণ ও যুব সমাজের প্রতি আহবান জানান।
মুখ্য আলোচক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন আলোচনা সভায় বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্মোচনের আপোষহীন নেতা। তাঁর নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, গুণাবলী, চিন্তা-চেতনার কথা আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু এদেশ এবং দেশের মানুষকে অত্যন্ত বেশি ভালোবাসতেন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রণী । বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণে দেশকে স্বাধীন করার ডাকে সারা দিয়ে এদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছি এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি। এদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
মুখ্য আলোচক বলেন- শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বীরসেনা। তিনি ছিলেন গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রাণের নেতা। শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন সৎ,সাহসী, দক্ষ, আপোষহীন নন্দিত নেতা। তিনি আজীবন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মঙ্গলের জন্য আন্দোলন করেছেন। আর একাজে তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, কখনো আপোষ করেননি। মুখ্য আলোচক-অত্যন্ত দৃঢ়চেতা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের বন্ধু শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এঁর বর্ণিল কর্মময় জীবণের উপর আলোকপাত করে বলেন- তিনি আজীবন নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কথা বলেছেন। তাদের মঙ্গলের রাজনীতি করেছেন। প্রখ্যাত এই শ্রমিক নেতা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গণমানুষের এই আপোষহীন নেতা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে টঙ্গীতে এক জনসভায় নির্মম ভাবে শহিদ হন। শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন সৎপ্রাণ মানুষ তিনি সকল কাজে সহযোগিতা প্রবণ ছিলেন। এই বলিষ্ঠ নেতার যোগ্য সন্তান আমাদের সকলের প্রিয় যুব সমাজের রোল মডেল আমাদের মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমিন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি । তিনি তাঁর পিতার মতোই সৎ,সাহসী এবং দক্ষ।
মুখ্য আলোচক বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ ও যুব সমাজকে উন্নয়নশীল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। যুবদের কর্মের পথ সুগম করার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দক্ষ যুবসমাজের বিকাশ এবং তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের লক্ষ্যে যুবদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের যে চ্যালেঞ্জ তা সফলভাবে মোকাবেলার জন্য একটি ‘‘যুব ব্র্যান্ড” প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রান্তিক যুব জনগোষ্ঠিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা সম্ভব হবে এবং আগ্রহী ও উদ্যোগী যুবদের উৎপাদিত পণ্য বিপণন ও বিক্রয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে । ইতোমধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যুবদের অনলাইন মার্কেটিং চ্যানেল তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘‘পাইকারী সেল ডট কম”। তিনি যুবদের কল্যাণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপের বিবরণ তুলে ধরে যুবদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিগণ আলোচনাসভায় বলেন- বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁর প্রতিটি উক্তি আমাদের বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য , আমাদের জন্য পাথেয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রেরণা। তাঁর মতো মহান নেতার জন্ম হয়েছিলো বলেই বিশ্বে আজ আমরা স্বাধীন জাতি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। অতিথিবর্গ বলেন- শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বীরসেনা। শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন সৎপ্রাণ মানুষ তিনি সকল কাজে সহযোগিতা প্রবণ ছিলেন। প্রখ্যাত এই শ্রমিক নেতা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন। এই বলিষ্ঠ নেতার যোগ্য সন্তান আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় নেতা, গাজীপুরের মাটি ও মানুষের গর্ব মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমিন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আ্হসান রাসেল, এমপি । তিনি তাঁর পিতার মতোই সৎ,সাহসী এবং দক্ষ। তাঁর সৎ, যোগ্য,দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে অতিথিবৃন্দ যুব সমাজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনাব আখতারুজ জামান খান কবির (অতিরিক্ত সচিব), বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ ১৫ আগস্টে সকল শহিদের প্রতি এবং শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভায় বলেন বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ, দূরদর্শী ও আপোষহীন নেতৃত্বে আমরা পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছি। পেয়েছি একটি স্বাধীন ভূখন্ড ও মানচিত্র। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ঘাতকদের নির্মম বুলেটের বর্বরোচিত আঘাতে সপরিবারে শহিদ হন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে তাঁর আদর্শকে ধারণ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গাজীপুর কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে সভাপতি বলেন যবুদের আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সারা দেশের ন্যয় গাজীপুরে প্রশিক্ষিত যুবদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধান অতিথি এখানে ৮ জনের মাঝে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণের চেক করেছেন। যুব সংগঠন সমূহকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এর অংশ হিসেবে আজ ৩টি যুব সংগঠনকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় মহাপরিচালক বলেন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্ভাসিত সেনা নায়ক । তিনি আজীবন নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কথা বলেছেন। তাদের মঙ্গলের রাজনীতি করেছেন। গাজীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা আপোষহীন বলিষ্ঠ কণ্ঠ আহসানউল্লাহ মাস্টার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে টঙ্গীতে এক জনসভায় নির্মম ভাবে শহিদ হন। এই বলিষ্ঠ নেতার যোগ্য সন্তান গাজীপুরের মাটি ও মানুষের গর্ব মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমিন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি । তাঁর সৎ, যোগ্য,দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যুব সমাজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে । তিনি বলেন যুবরাই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। প্রশিক্ষণের দক্ষতা ও ঋণ সহায়তাকে পুঁজি করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে মহাপরিচালক যুবদের প্রতি আহবান জানান।
পরিশেষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ১৫ আগস্টে সকল শহিদ এবং শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এস এম তরিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক, গাজীপুর, কামরুল আহসান রাসেল, আহবায়ক ,গাজীপুর মহানগর যুবলীগ উপস্থিত ছিলেন। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব আখতারুজ জামান খান কবির (অতিরিক্ত সচিব) অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ।
প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি বিকেল ০৪:০০টায় ‘শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার,যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-গাজীপুর’-এ বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। বিকেল ৪:০৫টায় তিনি স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্সূচির উদ্বোধন করেন। এর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কর্মময় জীবনের উপর এবং শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এঁর কর্মময় জীবনের উপর ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ ঘাতকদের নির্মম বুলেটের বর্বোরোচিত আঘাতে ১৫ আগস্টে সকল শহিদ এবং শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভায় অতিথিবর্গ বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি বলেন- বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন লড়াই করেছেন। তিনি অন্যায়ের সাথে কখনোই আপোষ করেননি। নানা ধরনের জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি এক যুগেরও বেশি সময় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। তিনি সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণার এক অনিঃশেষ উৎস। তিনি সব সময় গরীব-দুঃখী অসহায় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতি তথা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ট্রো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ,ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, ধৈর্য্য ও অবিচলতার বিষয়ে গর্ব করে বলেছিলেন, “ আমি হিমালয় দেখিনি, শেখ মুজিবকে দেখেছি।” মানুষের মৌলিক অধিকার – খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানুষের অভাব- অনটন, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূরীকরণ এবং উন্নত জীবনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বদ্ধপরিকর ও অগ্রগামী ব্যক্তিত্ব। তিনি একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রতেকটি সেক্টরের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ফুল বাগানে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। জীবনের পুরোটা সময় এদশের মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যয় করা বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ‘ সোনার বাংলা’ গড়তে। কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ঘাতকদের নির্মম বুলেটের বর্বরোচিত আঘাতে সপরিবারে শহিদ হন। প্রধান অতিথি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত সকল শহিদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কময় এক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে সংগঠিত হয় বিশ্বের ইতিহাসে সব চেয়ে বর্বোরোচিত নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। যা থেকে ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু, অবলা অন্তঃসত্ত্বা নারীকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। দেশে না থাকার কারণে সেদিন প্রাণে বেঁচে যান জাতির আশা-আকাঙ্খা ও উন্নয়নের প্রতীক আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। প্রধান অতিথি বলেন আজ বঙ্গবন্ধু নেই। কিন্তু তাঁর আদর্শ ও স্বপ্ন বেঁচে আছে। বাংলাদেশ থেমে নেই , বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তাঁরই দেখানো পথে উন্নয়নের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার,যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করে দেশকে ২০৪১সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার জন্য তরুণ ও যুব সমাজের প্রতি আহবান জানান।
মুখ্য আলোচক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব জনাব মোঃ আখতার হোসেন আলোচনা সভায় বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি আদর্শ, তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্মোচনের আপোষহীন নেতা। তাঁর নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা, গুণাবলী, চিন্তা-চেতনার কথা আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু এদেশ এবং দেশের মানুষকে অত্যন্ত বেশি ভালোবাসতেন। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রণী । বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণে দেশকে স্বাধীন করার ডাকে সারা দিয়ে এদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই আমরা বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারছি এবং স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছি। এদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
মুখ্য আলোচক বলেন- শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বীরসেনা। তিনি ছিলেন গাজীপুরের মাটি ও মানুষের প্রাণের নেতা। শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন সৎ,সাহসী, দক্ষ, আপোষহীন নন্দিত নেতা। তিনি আজীবন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের মঙ্গলের জন্য আন্দোলন করেছেন। আর একাজে তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি, কখনো আপোষ করেননি। মুখ্য আলোচক-অত্যন্ত দৃঢ়চেতা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের বন্ধু শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এঁর বর্ণিল কর্মময় জীবণের উপর আলোকপাত করে বলেন- তিনি আজীবন নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কথা বলেছেন। তাদের মঙ্গলের রাজনীতি করেছেন। প্রখ্যাত এই শ্রমিক নেতা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গণমানুষের এই আপোষহীন নেতা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে টঙ্গীতে এক জনসভায় নির্মম ভাবে শহিদ হন। শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন সৎপ্রাণ মানুষ তিনি সকল কাজে সহযোগিতা প্রবণ ছিলেন। এই বলিষ্ঠ নেতার যোগ্য সন্তান আমাদের সকলের প্রিয় যুব সমাজের রোল মডেল আমাদের মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমিন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি । তিনি তাঁর পিতার মতোই সৎ,সাহসী এবং দক্ষ।
মুখ্য আলোচক বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তরুণ ও যুব সমাজকে উন্নয়নশীল কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে। যুবদের কর্মের পথ সুগম করার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। দক্ষ যুবসমাজের বিকাশ এবং তা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের লক্ষ্যে যুবদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের যে চ্যালেঞ্জ তা সফলভাবে মোকাবেলার জন্য একটি ‘‘যুব ব্র্যান্ড” প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রান্তিক যুব জনগোষ্ঠিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা সম্ভব হবে এবং আগ্রহী ও উদ্যোগী যুবদের উৎপাদিত পণ্য বিপণন ও বিক্রয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে । ইতোমধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে যুবদের অনলাইন মার্কেটিং চ্যানেল তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘‘পাইকারী সেল ডট কম”। তিনি যুবদের কল্যাণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত অন্যান্য পদক্ষেপের বিবরণ তুলে ধরে যুবদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিগণ আলোচনাসভায় বলেন- বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ তাঁর প্রতিটি উক্তি আমাদের বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য , আমাদের জন্য পাথেয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের প্রেরণা। তাঁর মতো মহান নেতার জন্ম হয়েছিলো বলেই বিশ্বে আজ আমরা স্বাধীন জাতি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যার বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। অতিথিবর্গ বলেন- শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বীরসেনা। শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন সৎপ্রাণ মানুষ তিনি সকল কাজে সহযোগিতা প্রবণ ছিলেন। প্রখ্যাত এই শ্রমিক নেতা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন। এই বলিষ্ঠ নেতার যোগ্য সন্তান আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় নেতা, গাজীপুরের মাটি ও মানুষের গর্ব মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমিন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আ্হসান রাসেল, এমপি । তিনি তাঁর পিতার মতোই সৎ,সাহসী এবং দক্ষ। তাঁর সৎ, যোগ্য,দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে অতিথিবৃন্দ যুব সমাজকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনাব আখতারুজ জামান খান কবির (অতিরিক্ত সচিব), বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ ১৫ আগস্টে সকল শহিদের প্রতি এবং শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আলোচনা সভায় বলেন বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ, দূরদর্শী ও আপোষহীন নেতৃত্বে আমরা পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পেরেছি। পেয়েছি একটি স্বাধীন ভূখন্ড ও মানচিত্র। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ঘাতকদের নির্মম বুলেটের বর্বরোচিত আঘাতে সপরিবারে শহিদ হন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে তাঁর আদর্শকে ধারণ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গাজীপুর কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে সভাপতি বলেন যবুদের আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সারা দেশের ন্যয় গাজীপুরে প্রশিক্ষিত যুবদের মাঝে ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে মাননীয় প্রধান অতিথি এখানে ৮ জনের মাঝে ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণের চেক করেছেন। যুব সংগঠন সমূহকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করার জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এর অংশ হিসেবে আজ ৩টি যুব সংগঠনকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় মহাপরিচালক বলেন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্ভাসিত সেনা নায়ক । তিনি আজীবন নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কথা বলেছেন। তাদের মঙ্গলের রাজনীতি করেছেন। গাজীপুরের মাটি ও মানুষের নেতা আপোষহীন বলিষ্ঠ কণ্ঠ আহসানউল্লাহ মাস্টার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে টঙ্গীতে এক জনসভায় নির্মম ভাবে শহিদ হন। এই বলিষ্ঠ নেতার যোগ্য সন্তান গাজীপুরের মাটি ও মানুষের গর্ব মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমিন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি । তাঁর সৎ, যোগ্য,দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যুব সমাজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে । তিনি বলেন যুবরাই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। প্রশিক্ষণের দক্ষতা ও ঋণ সহায়তাকে পুঁজি করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে মহাপরিচালক যুবদের প্রতি আহবান জানান।
পরিশেষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যসহ ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ১৫ আগস্টে সকল শহিদ এবং শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট দোয়া করা হয়।
COMMENTS