
প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ ছিল ঢাকার বিমানবন্দর, গাজীপুরের জয়দেবপুর ও নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন। গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ৩১ মে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ তিন স্টেশনে এতদিন কোনো ট্রেন থামেনি। গতকাল এ তিন স্টেশনে চলাচলকারী ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি দেয়া শুরু করেছে। একই সঙ্গে স্টেশন তিনটি সংস্কার করে প্লাটফর্ম উঁচু করা হয়েছে। পাশাপাশি স্টেশনের চারপাশে বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম। এখন থেকে এ তিন স্টেশনে টিকিট ছাড়া আর কোনো যাত্রী প্রবেশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশ রেলওয়েতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টেশন তিনটির সংস্কারকাজের জন্যই এতদিন সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিল। বন্ধের এ সময়ে স্টেশনগুলোর প্লাটফর্ম উঁচু করা হয়েছে। আগে এ তিন স্টেশনের প্লাটফর্মের উচ্চতা ট্রেনের দরজার উচ্চতার চেয়ে কম ছিল। সেটি উঁচু করে ট্রেনের দরজার সঙ্গে সামঞ্জস্য করা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা প্লাটফর্ম থেকে সহজেই ট্রেনে উঠতে পারবেন।
স্টেশনগুলোর চারপাশ খোলা থাকায় এতদিন ছিন্নমূল মানুষসহ অনেকেই স্টেশনে প্রবেশ করত। এতে সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতো। এজন্য বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ও নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের চারপাশে লোহার বেড়া দেয়া হয়েছে। টিকিটধারী যাত্রী ছাড়া অন্য কেউ এখন থেকে আর স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না।
এ তিন স্টেশনের প্লাটফর্ম সংস্কারকাজ ও অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম স্থাপনের পর গতকাল ট্রেনগুলো যাত্রাবিরতি দেয়া শুরু করেছে। গতকাল নতুন রূপে এ তিন স্টেশনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশে রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে কাঙ্ক্ষিত যাত্রীসেবা দেয়া সম্ভব হয় না। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশন সংস্কার করে অ্যাকসেস কন্ট্রোল সিস্টেম চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বড় স্টেশনে একই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামছুজ্জামান প্রমুখ।
COMMENTS