
এম এ কবির: ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে ভর করে কোন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১০ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে গাজীপুর মহানগরের গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বর্ধিত সভায় যুক্ত হন।
গাজীপুর মহানগরের পিটিআইয়ে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার অডিটোরিয়ামে বিকেল ৩ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দীর্ঘসময় নিয়ে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শুধু ধর্ষণ আর নারীর প্রতি সহিংসতাই নয়, যেকোনো অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে, আনা হয়েছে বিচারের আওতায়। ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে ভর করে কোন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম রুখতে যে শুদ্ধি অভিযান সরকার পরিচালনা করছে তা কারো দাবির প্রেক্ষিতে নয়, সরকার স্বপ্রণোদিত হয়েই করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সরকারের পতন চায়। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংস করার অপচেষ্টা করছে বিএনপি, সরকার এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
যারা ষড়যন্ত্রকারী, গুজব রটনাকারী তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে অস্থিরতা ও ষড়যন্ত্র সৃষ্টির অপপ্রয়াস জনস্বার্থে সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের কোনো পর্যায়ের সন্ত্রাসী, ধর্ষক ও মাদকসেবীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না, কমিটি গঠনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সামনে আসছে বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন। এ সকল নির্বাচনে জয়ের প্রস্তুতি এখন থেকে গ্রহণ করতে হবে।
“দলের প্রার্থীর জয়ের জন্য যথাযথ প্রার্থী নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রার্থী নির্ধারণের ক্ষেত্রে সর্বসম্মত হতে হবে। শক্তিশালী এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করবেন এবং সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রার্থীর বিজয়ে কাজ করবেন।”
দলকে শক্তিশালী করতে নিজেদের বিভেদ মিটিয়ে ফেলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
“সংগঠনের মজবুত জনভিত্তি তৈরি করতে হলে থাকতে হবে ঐক্যবদ্ধ। ছোট-খাট বিষয়ে মতের অমিল থাকলে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে।”
জেলা সম্মেলনের আগে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলার সম্মেলন অবশ্যই শেষ করতে হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মির্জা আজম এমপি অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডঃ নজিবুল্লা হিরু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃজাহিদ আহসান রাসেল এমপি, বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি এমপি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃমোঃআজমত উল্লা খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র এডঃ মোঃজাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতার উজ্জামান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি।
বর্ধিত সভা উপলক্ষে শহিদ আহসান উল্লাহ অডিটরিয়ামকে সাজানো হয়েছিল বর্ণীল সাজে। আর সবগুলো উপজেলার নেতা কর্মিদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিলো অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গন।
COMMENTS