এম এ কবির: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সারা দেশের মতো পূজা উপলক্ষে গাজীপুরেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। জেলা ও মহানগরের পূজা মণ্ডপগুলোতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগররা। মাটি দিয়ে প্রতিমার অবয়র তৈরির কাজ শেষ। এখন এসব প্রতিমা রঙ-তুলি দিয়ে রাঙানোর কাজ চলছে।
দেবীদুর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রূপ দিতে দিন-রাত কাজ করছেন তারা। পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দিরগুলোতেও চলছে সাজসজ্জার প্রস্তুতি।
গাজীপুরের শিল্পীরা ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানে এসে রঙ-তুলির কাজ করছেন। প্রতিটি পূজামণ্ডপের জন্য তৈরি হয়েছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, অসুর, সিংহ, হাঁস, পেঁচা, সাপসহ বিভিন্ন প্রতিমা। এসব প্রতিমা রাঙানোর কাজ চলছে।
অন্যদিকে প্রতিমার পাশাপাশি শারদীয় দুর্গাপূজাকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে বাদ্যযন্ত্র ঠিক ও তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে বাদ্যকাররা।
গাজীপুর জেলায় ২৫৩ টি এবং মহানগরে ৮৭ টি সর্বমোট ৩৪০ টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গতবার এইসংখ্যা ছিল জেলায় ৩০৪ এবং মহানগরে ৯৯ টি। করোনা মহামারির কারণে এ বছর পূজার সংখ্যা ও অনুষ্ঠানের আড়ম্ব কমেছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি অরুন কুমার সাহার তথ্যমতে মহানগরের সদর থানায় ২৯ টি, বাসন থানায় ১০ টি, গাছা থানায় ১৩টি, টঙ্গী পচ্শিম থানায় ২টি, টঙ্গী পূর্ব থানায় ৬টি, পুবাইল থানায় ১৩ টি, কোনাবাড়ি থানায় ৫ টি ও কাশিমপুর থানায় ১৩টি পূজামণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে। আর জেলার সদর উপজেলায় ১৯টি, কালিয়াকৈর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৯৩টি, শ্রীপুর উপজেলায় ৪৮ টি, কাপাসিয়া উপজেলায় ৫৫ টি ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩৮ টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডঃ ঠাকুর দাস মন্ডল।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, মহানগরের প্রতিটি পূজামণ্ডপে এবার ২৫,০০০ টাকা করে বরাদ্ধ দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, এবারের পূজায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আনন্দমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রতিটি মণ্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক সাধ্য অনুযায়ী রাখতে হবে। একসঙ্গে জটলা পাকানো যাবে না, সন্ধ্যাআরতি চলাকালে কোনো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, লাফালাফি, ডিজে অনুষ্ঠান করা যাবে না।
আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজা দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
COMMENTS