
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই ৫২০ কেজি সরকারী ত্রাণের চাল কোনাবাড়ী বিসিক শিল্প নগরী টেলিফোন ভবনের সিঁড়ির নিচে রাখা। জানায় যায়, করোনাকালীন সরকারি ওই ত্রাণের চাল অসহায় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণের কথা ছিল। কিন্তু তা বিতরণ না করে রহস্যজনক কারণে ত্রাণের প্যাকেটগুলো কোনাবাড়ি বিসিকের টেলিফোন ভবন অফিসের সিঁড়ির নিচে রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোনাবাড়ি থানার ওসি মোঃ এমদাদ হোসন।
এলাকাবাসি জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাসিরউদ্দিন মোল্লা করোনাকালীন সময়ের সরকারি ত্রাণসামগ্রী তার ওয়ার্ডের অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে তালিকা অনুসারে বিতরণ করেননি।
জানা গেছে, ৯নং-ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধশতাধিক তালিকাভুক্ত গরীব ব্যক্তিরা করোনাকালীন সময়ের ত্রাণসামগ্রী পাননি। প্রায় চার মাস পূর্বে তিনি ওই ত্রাণ উত্তোলন করে নেন। ত্রাণের চাল গরীবদের মাঝে বিতরণ না করে ওই অফিসে রাখায় এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্ঠি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওয়ার্ড সচিব জানায়, মহামারী করোনাকালীন সময়ে এক হাজার চার”শটি ত্রাণের প্যাকেট আসে ৯নং ওয়ার্ডে। প্রতিটি প্যাকেটে ১০ কেজি করে চাল রয়েছে বলে জানায় তিনি। প্যাকেটগুলো কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন সঠিকভাবে বণ্টন না করে নয়-ছয় করে কোনাবাড়ি টেলিফোন ভবনের সিঁড়ির নিচে দীর্ঘদিন ধরে রেখে দিয়েছেন।
এছাড়াও কাউন্সিলর নাসিরের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, দুইবার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তালিকাভুক্ত করার পরেও তাকে ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন মোল্লার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি এমন না তাঁর অফিসে জায়গা না থাকার কারণে কোনাবাড়ি টেলিফোন ভবন অফিস ব্যবহার করে সেখান থেকে প্রতিদিন মাস্টার রুলে চাল বিতরণ করা হয়।
৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও অঞ্চলর ৭-এর সভাপতি মোঃ সেলিম রহমান জানান, বিতরণের কোন সময় বেধে দেয়া হয়নি। তাছাড়া নগর ভবনের এক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আমরা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে শেষ দিয়েছি। তবে এসব চাল এতো দিন পর্যন্ত থাকার কথা নয়।
জিএমপি কোনাবাড়ি থানার ওসি মোঃ এমদাদ হোসেন জানান, যেহেতু টেলিফোন ভবনটি সরকারি তাই ওই ভবনের অফিসের লোকদের বলা হয়েছে উপরের সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত যেন কেউ চালে হাত না দেয়া হয়। ওখানেই থাকবে। পরবর্তিতে ডিসি স্যার (জেলা প্রশাসক) অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত। তাছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি দেখবেন তাকে কাউন্সিলরকে তলব করেছেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছে, এটা তিনি করতে পারেন না। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ের ত্রাণের চাল এতদিন একটি অফিসে কেন থাকবে।
COMMENTS