শহিদুল ইসলাম,কালিয়াকৈর॥ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে বনের জমি দখল করে গরুর খামার, বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ মাদরাসার অবুঝ ছাত্রদের মধ্যে উগ্রবাদ সৃষ্টি এবং তাদের দিয়ে স্থানীয় লোকদের মারধরসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত শিক্ষক দারুল উলুম মাহামুদ নগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুফতি এমদাদুল হক(৩৮) । তিনি উপজেলার ডাইনকিনি এলাকার সিরাজুল ইসলাম ওরফে খোদা বক্সের ছেলে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এতিমখানা ও মাদরাসাকে পুজি করে এমদাদুল হক নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত হয়েছে। তার অপকর্মের সহযোগী হিসেবে দুই ভাই মাওলানা লিয়াকত হোসেন ও মাওলানা আশরাফুল ইসলামকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। মাত্র ৫৬ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে ওকাক্ফকৃত থাকলেও আরোও শত শত গজারি গাছ কেটে বনের জমি দখল করে বসত বিটা, গরুর খামার ও বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছন। সেখানে এতিমখানা বিভাগ থাকলেও কোন এতিম ছাত্রদের লেখাপড়ার সুযোগ নেয়।
বছরখানেক আগে চন্দ্রা এলাকায় মনোয়ারারা বেগম নামে এক বৃদ্ধার লক্ষাধিক টাকা মুল্যের একটি গাভী মাদ্রাসায় ঢুকে পড়লে এমদাদুলের ভাই আশরাফুল ইসলাম এলাপাথারি পিটিয়ে গাভীটির পা এবং ঘাড় ভেঙ্গে দেয়। পরে সেটি মাত্র ২০ হাজার টাকায় কসাইয়ের কাছে বিক্রি করা হয়। এরপর তিনি ওই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যারের শর্তে মাওলানা এমদাদ ও তার ভাই মাওলানা আশরাফসহ বেশ কয়েকজন মহিলার বাড়ীতে গিয়ে তাকে একটি গাভী কিনে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তাকে গাভী কিনে দেননি।
অসহায় মনোয়ারারা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান “ একটি অবুঝ প্রাণিকে এভাবে নির্মমভাবে যারা হত্যা করতে পারে আল্লাহ তাদের বিচার করবেন”।
এদিকে গত ২০ অক্টোবর সকালে কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন (সবুজ) ও তার চাচা জাতির পিতা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো: আখতার হোসেন গংদের জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তাা নির্মাণ করতে যায় চন্দ্রা দারুল উলুম মাহামুদ নগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা এমদাদুল হক।
এ সময় সবুজ ও তার চাচা তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি এমদাদুল হক অবুঝ ছাত্রদের নির্দেশ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর জঙ্গী স্টাইলে হামলা চালায়। হামলায় জমির মালিক চাচা ও ভাতিজা দুজনেই গুরুতর আহত হন। তাদের বাঁচাতে গিয়েও হামলার শিকার হন চন্দ্রা হাজী মোহাম্মদ আলী সুপার মার্কেটের বেশ কয়েকজন দোকানদার।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় মাওলানা এমদাদুল হকসহ কয়েকজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এছাড়া গত ১২ আগস্ট ২০২০ তারিখ রাত ৯টার দিকে এমদাদুল হকের নেতৃত্বে তার ভাই ইয়াকুব, মোহাম্মদ আলী, আশরাফুল ইসলাম এবং লিয়াকত সংঘবদ্ধভাবে তাদের ছোট ভাই ইছহাকের স্ত্রী সুমিকে এলোপাতারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় অন্যত্র ফেলে রেখে চলে যায়। এই ঘটনায় সুমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ সিরাজগঞ্জ আদালতে তাদের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
চন্দ্রা বন বিট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বনের জমি দখল করে গরুর খামার, বসতবাড়ি নির্মাণ ও দোকানপাট গড়ে তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটা যদি জবর দখল হয়ে থাকে তবে খুব শিগ্রই আমরা মাপের ব্যবস্থা করবো এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চন্দ্রা দারুল উলুম মাহামুদ নগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগের জন্য চন্দ্রাস্থ মাদ্রাসায় গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। তবে মাওলানা এমদাদুল হকের ছোট ভাই মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বলেন , মাদ্রাসার দক্ষিন পাশে কিছু জায়গা ও উত্তর-পশ্চিম পাশের গরুর খামারে সরাকারী বনের জায়গা রয়েছে। শুধু আমরা কেন অনেকেই তো সরকারী জায়গা দখল করে বিভিন্ন কিছু তৈরি করেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এতিমখানা ও মাদরাসাকে পুজি করে এমদাদুল হক নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত হয়েছে। তার অপকর্মের সহযোগী হিসেবে দুই ভাই মাওলানা লিয়াকত হোসেন ও মাওলানা আশরাফুল ইসলামকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। মাত্র ৫৬ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে ওকাক্ফকৃত থাকলেও আরোও শত শত গজারি গাছ কেটে বনের জমি দখল করে বসত বিটা, গরুর খামার ও বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছন। সেখানে এতিমখানা বিভাগ থাকলেও কোন এতিম ছাত্রদের লেখাপড়ার সুযোগ নেয়।
বছরখানেক আগে চন্দ্রা এলাকায় মনোয়ারারা বেগম নামে এক বৃদ্ধার লক্ষাধিক টাকা মুল্যের একটি গাভী মাদ্রাসায় ঢুকে পড়লে এমদাদুলের ভাই আশরাফুল ইসলাম এলাপাথারি পিটিয়ে গাভীটির পা এবং ঘাড় ভেঙ্গে দেয়। পরে সেটি মাত্র ২০ হাজার টাকায় কসাইয়ের কাছে বিক্রি করা হয়। এরপর তিনি ওই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা থেকে অভিযোগ প্রত্যারের শর্তে মাওলানা এমদাদ ও তার ভাই মাওলানা আশরাফসহ বেশ কয়েকজন মহিলার বাড়ীতে গিয়ে তাকে একটি গাভী কিনে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তাকে গাভী কিনে দেননি।
অসহায় মনোয়ারারা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান “ একটি অবুঝ প্রাণিকে এভাবে নির্মমভাবে যারা হত্যা করতে পারে আল্লাহ তাদের বিচার করবেন”।
এদিকে গত ২০ অক্টোবর সকালে কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন (সবুজ) ও তার চাচা জাতির পিতা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো: আখতার হোসেন গংদের জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তাা নির্মাণ করতে যায় চন্দ্রা দারুল উলুম মাহামুদ নগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা এমদাদুল হক।
এ সময় সবুজ ও তার চাচা তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি এমদাদুল হক অবুঝ ছাত্রদের নির্দেশ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর জঙ্গী স্টাইলে হামলা চালায়। হামলায় জমির মালিক চাচা ও ভাতিজা দুজনেই গুরুতর আহত হন। তাদের বাঁচাতে গিয়েও হামলার শিকার হন চন্দ্রা হাজী মোহাম্মদ আলী সুপার মার্কেটের বেশ কয়েকজন দোকানদার।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সফিপুর মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় মাওলানা এমদাদুল হকসহ কয়েকজনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এছাড়া গত ১২ আগস্ট ২০২০ তারিখ রাত ৯টার দিকে এমদাদুল হকের নেতৃত্বে তার ভাই ইয়াকুব, মোহাম্মদ আলী, আশরাফুল ইসলাম এবং লিয়াকত সংঘবদ্ধভাবে তাদের ছোট ভাই ইছহাকের স্ত্রী সুমিকে এলোপাতারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় অন্যত্র ফেলে রেখে চলে যায়। এই ঘটনায় সুমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ সিরাজগঞ্জ আদালতে তাদের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
চন্দ্রা বন বিট কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বনের জমি দখল করে গরুর খামার, বসতবাড়ি নির্মাণ ও দোকানপাট গড়ে তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটা যদি জবর দখল হয়ে থাকে তবে খুব শিগ্রই আমরা মাপের ব্যবস্থা করবো এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চন্দ্রা দারুল উলুম মাহামুদ নগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগের জন্য চন্দ্রাস্থ মাদ্রাসায় গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যান। তবে মাওলানা এমদাদুল হকের ছোট ভাই মাওলানা আশরাফুল ইসলাম বলেন , মাদ্রাসার দক্ষিন পাশে কিছু জায়গা ও উত্তর-পশ্চিম পাশের গরুর খামারে সরাকারী বনের জায়গা রয়েছে। শুধু আমরা কেন অনেকেই তো সরকারী জায়গা দখল করে বিভিন্ন কিছু তৈরি করেছে।
COMMENTS