গাজীপুরে সারা বছরব্যাপী চাষযোগ্য বারি পেঁয়াজ-৫ এর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে কৃষকরা এতে অংশ নেয়।
আয়োজিত ‘পেঁয়াজ বীজ ও বীজকন্দ উৎপাদন প্রযুক্তি’ বিষয়ক এ কৃষক মাঠ দিবসে ৭০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন। ‘মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদার করণ’ প্রকল্প এর অর্থায়ন করে।
আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইকবাল হক স্বপনের সঞ্চালনায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহা. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহা. মাসুদুল হক।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. এস. এম. শরিফুজ্জামান, পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. কবিতা আনজু-মান-আরা, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, সরেজমিন গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আককাছ আলী, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সোহেলা আক্তার, মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদারসহ অনেকে।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে আমাদের দেশে পেঁয়াজের মোট উৎপাদন প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। ফলে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করতে হয়।
অথচ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের কাছে সারা বছরব্যাপী পেঁয়াজ চাষের প্রযুক্তি রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে বারি পেঁয়াজ-৫। বারি উদ্ভাবিত বারি পেঁয়াজ-৫ যেমন সারা বছরব্যাপী চাষ করা যায় তেমনি অন্যান্য পেঁয়াজের জাতের চেয়ে এর উৎপাদন ২-৩ গুণ বেশি। প্রতি বিঘায় অন্যান্য জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন যেখানে ২৫-৩০ মণ, সেখানে বারি পেঁয়াজ-৫ এর উৎপাদন ৭৫-৮০ মণ। তাই সারা বছরব্যাপী চাষযোগ্য বারি পেঁয়াজ-৫ চাষ করলে কৃষক যেমনি লাভবান হবে তেমনি দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানোও সম্ভব।
COMMENTS