বন্যপ্রাণীর আক্রমণে জানমালের ক্ষতিপূরণ বাড়ল। এজন্য ২০১০ সালের বিধিমালা বাতিল করে ‘বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত জানমালের ক্ষতিপূরণ বিধিমালা, ২০২১’ জারি করেছে সরকার।সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে এই বিধিমালা জারি করা হয়েছে। আগে বাঘ, হাতি, কুমিরের আক্রমণে ক্ষতিপূরণ দেয়া হতো। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, বাঘ, হাতি, কুমির, ভাল্লুক বা সাফারি পার্কে বিদ্যমান বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণের আবেদন করা যাবে।
বন্যপ্রাণীর আক্রমণে কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তার পরিবার তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। আগে এই ক্ষতিপূরণ ছিল এক লাখ টাকা।গুরুতর আহত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা। আগে বন্যপ্রাণীর আক্রমণে মানুষ পঙ্গু হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হতো।
বন্যপ্রাণীর আক্রমণে গবাদিপশু, ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসল ইত্যাদি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আগে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হতো। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি বনাঞ্চলের বাইরে লোকালয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, আইনানুগভাবে সরকারি বনাঞ্চলে প্রবেশের অনুমতিপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা ওই বনাঞ্চলের ভেতরে কর্মরত সরকারি কর্মচারী বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হলে তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন। একই সঙ্গে সরকারি বনাঞ্চলের বাইরে লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি আক্রান্ত হলে বা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং কোনো ব্যক্তি সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
তবে সরকারি বনাঞ্চলের ভেতরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশের ফলে কোনো ব্যক্তি বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন না। কোনো ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো বন্যপ্রাণীকে আঘাত করলে বা করতে উদ্যত হলে বা অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে কোনো বন্যপ্রাণীকে শিকার বা আটক করতে চাইলে বা করার জন্য ওই বন্যপ্রাণীর আক্রমণে আঘাত পেলেও তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন না।
এছাড়া বিদেশি নাগরিক, সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে আক্রান্ত এবং সাফারি পার্কের সরকারি ঝুঁকি ভাতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারী আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণীর আক্রমণে কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত বা নিহত হলে বা সরকারি বনাঞ্চলের বাইরে লোকালয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৬০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ফরেস্ট অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তা বা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে হবে। ৬০ দিন পর পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের আবেদন করলে গঠিত কমিটি যৌক্তিক কারণ থাকা সাপেক্ষে আবেদনটি বিবেচনা করতে পারবে।
বন্যপ্রাণীর মাধ্যমে আক্রান্ত জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করার জন্য আগের মতোই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি থাকবে।ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্তে আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ হলে সিদ্ধান্ত পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

Find us on Facebook
৭ দিনের জনপ্রিয়$type=list-tab$m=0$cate=0$sn=0$rm=0$$va=0
৩০ দিনের জনপ্রিয়$type=list-tab$m=0$cate=0$sn=0$rm=0$$va=0
সর্রাধিক জনপ্রিয়$type=list-tab$m=0$cate=0$sn=0$rm=0$$va=0
সর্বশেষ আপডেট$type=blogging$l=0$c=12$m=0$s=hide$rm=0$va=0$hide=home
দৃষ্টি আকর্ষণ
অপরাধের সূত্রপাত কিংবা ভোগান্তির কথা সরাসরি গাজীপুর অনলাইনে জানাতে ই-মেইল করুন। আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের সংবাদ প্রচার করতে চাইলে
ই-মেইল করুনঃ gazipuronline@gmail.com
গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের সংবাদ প্রচার করতে চাইলে
ই-মেইল করুনঃ gazipuronline@gmail.com
COMMENTS