দীর্ঘ ৬০ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার থেকে দেশব্যাপী আবার শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার উৎসব। শনিবার ভোর রাত থেকে জেলেরা আবারও ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার শুরু করেছে। মা ইলিশের নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিত করতে সাগরের মোহনা ও ইলিশ চলাচলকারী নদ-নদীতে মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা ছিল।
নিষেধাজ্ঞা শেষে জাল নিয়ে নদীতে আবার নেমেছে জেলেরা। স্বস্তি ফিরে এসেছে জেলেদের মনে। এখন ইলিশ ধরা পড়লেই আয় বাড়বে। মহাজনের সুদের টাকাও শোধ দিতে পারবে। জেলেরা জানান, এখন নদীতে বড় সাইজের ইলিশ আছে। জালে মাঝে মাঝে ধরা পড়ছে। তবে এটা ভাগ্যের ব্যাপার। বাজারে এখন বড় ইলিশের চাহিদাই বেশি। দামও ভাল।
মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুর জেলার অর্ধ লক্ষাধিক জেলে মাছ ধরতে নেমেছে। করোনা মহামারীর সুযোগে এবারও নদীতে প্রচুর জাটকা ধরা হয়েছে। এরপরও ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। জেলেরা এবার কাক্সিক্ষত পরিমাণ ইলিশ পাব। একেকটি মা ইলিশ লাখ লাখ ডিম ছাড়ে। এবারও ডিম ছাড়ার সুযোগ পেয়েছে। ফলে ইলিশের উৎপাদন এ বছরও বাড়বে।
জানা গেছে, ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্য ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ৬ জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে যাবতীয় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালীর ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদী। আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদ- অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের কথা বলা হয়েছিল।
‘দ্য প্রটেকশন এ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস ১৯৮৫’ সংশোধন করে ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সরকার। এর মধ্যে ৬০ দিনে যে পাঁচটি অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল সেগুলো হচ্ছে- ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চররুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা, চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা, বরিশালের হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা, ভোলার মদনপুর, চর ইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা এবং শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুরের মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা।
এ সময় সংশ্লিষ্ট ছয়টি জেলার তালিকাভুক্ত ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন জেলের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ১৯ হাজার ৫০২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল সহায়তা দেয় সরকার।

Find us on Facebook
৭ দিনের জনপ্রিয়$type=list-tab$m=0$cate=0$sn=0$rm=0$$va=0
৩০ দিনের জনপ্রিয়$type=list-tab$m=0$cate=0$sn=0$rm=0$$va=0
সর্রাধিক জনপ্রিয়$type=list-tab$m=0$cate=0$sn=0$rm=0$$va=0
সর্বশেষ আপডেট$type=blogging$l=0$c=12$m=0$s=hide$rm=0$va=0$hide=home
দৃষ্টি আকর্ষণ
অপরাধের সূত্রপাত কিংবা ভোগান্তির কথা সরাসরি গাজীপুর অনলাইনে জানাতে ই-মেইল করুন। আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের সংবাদ প্রচার করতে চাইলে
ই-মেইল করুনঃ gazipuronline@gmail.com
গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের সংবাদ প্রচার করতে চাইলে
ই-মেইল করুনঃ gazipuronline@gmail.com
COMMENTS