এম এ কবির: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমি মাসিক সম্মানী, গাড়ির তেল এসব কিছুই সিটি কর্পোরেশন থেকে নেইনা। শুধু মানুষের চলার জন্য, রাস্তা নির্মাণ ও প্রশস্তকরণের জন্য নগরবাসীর কাছ থেকে জায়গা চেয়ে নিয়েছি।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শ্রমিক নেতা ও গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে একথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, একটি পরিকল্পিত শহর করতে ২০/৩০ বছর সময় লাগে। মন্ত্রী, এমপি, কাউন্সিলর, নাগরিক এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। এই নগর দল-মত নির্বিশেষে সকল মানুষের নগর। তাই নগরকে একটি বাসযোগ্য আধুনিক নগর করতে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা আশা করছি। নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য, নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি কাজ করতেই এসেছি।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বিগত ১০০ বছরেও যে কাজ হয়নি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা ও আন্তরিকতায় সেই কাজই আমরা করছি। যেই সড়ক বার ফুট প্রশস্ত ছিল, সেটা এখন আমরা সত্তর ফুট প্রশস্ত করে দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত আমরা প্রায় আটশো কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করেছি। উন্নয়নের পর উন্নয়ন করে যাচ্ছি। বলা সহজ, কিন্তু কাজ করাটা অনেক কঠিন। আমরা দ্রুত সময়ে যেভাবে এই নগরকে গড়ে তুলছি শুধু এদেশেই নয়, পৃথিবীর কোনো দেশেই এভাবে এত ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করেনি।
গাজীপুর শহরকে চাঁদাবাজ ও ধান্দাবাজদের শহরে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের নিজেদেরকে ভালো কাজ করতে হবে, নইলে যারা করবে তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে। কাজের জন্য খুব বেশি মানুষের দরকার হয়না। সৎ, আদর্শবান ও সাহসী মানুষের দরকার হয়।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার প্রসঙ্গে বলেন, তিনি ছিলেন সৎ, আদর্শবান ও সাহসী মানুষ। যাদের এসব গুণ আছে তাদের পাশে আমি আছি থাকবো।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারকে বিএনপি- জামায়াতের চারদলীয় জোট আমলে নির্মমভাবে হত্যা করেছে জানিয়ে বলেন, তখন আমরা বিরোধী দলে থেকে ঘরে বসে থাকিনি। সর্বোচ্চ প্রতিবাদ করেছি। আর আমাদের মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এর জন্মদিন হিসেবে এই দিনটি অবশ্যই আমাদের কাছে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ।
জন্মদিন উপলক্ষে বিশাল আয়তনের কেক কাটা হয়, আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং শহীদের মাকে তার বাসায় গিয়ে সম্মান জানানো হয়।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের হায়দারাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধিকবার জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন।
COMMENTS