গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের বিষয়ে আইনি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা তা দুই একদিনের মধ্যে জানানো হবে।
১৯ নভেম্বর প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। সেইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়।
এর আগে এক বিতর্কিত ফুটেজ প্রকাশের জের ধরে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় অন্দরমহলে ওঠে সমালোচনার ঝড়। অভিযোগ ওঠে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির। গাজীপুরের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলসহ বর্ষীয়ান নেতা আজমত উল্লাহ ভুঁইয়াকে নিয়েও কিছু স্পর্শকাতর মন্তব্য তিনি করেন। এসবের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল তার বিরুদ্ধে দলের ব্যবস্থা নেয়ার গুঞ্জন।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির বাইরে কাপড়-ব্যবসার সাথে যুক্ত জাহাঙ্গীর ‘অনারেবল টেক্সটাইল অ্যান্ড কম্পোজিট লিমিটেড’ এবং ‘জেড আলম অ্যাপারালস’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন জাহাঙ্গীর ও তার অনুসারীরা।
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগে মেয়রপন্থি হিসেবে পরিচিতরা এ ঘটনায় রয়েছেন কিছুটা বিপাকে। অন্যদিকে, জাহাঙ্গীরের কারণে অনেক দিন কোণঠাসা হয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে উচ্ছ্বাস। সব মিলিয়ে বদলে গেছে গাজীপুরের রাজনীতির প্রেক্ষাপট। সেখানে এখন এক ধরনের নতুন হাওয়া বইছে। সরেজমিন গাজীপুর ঘুরে একাধিক নেতা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে পরিবর্তনের এমন আবহ।
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সমর্থক কাউন্সিলর মাওলানা মনজুর হোসাইন গতকাল বলেন, ‘মেয়র দলীয় নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি নেতাকর্মীদের বলেছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা তার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তিনি মাথা পেতে নিয়েছেন। কাউকে কোনো বিশৃঙ্খলা বা কারও সঙ্গে কোনো ধরনের বিবাদে জড়াতে নিষেধ করেছেন। এছাড়া নগরীর উন্নয়নে সবাইকে মিলেমিশে কাজ করার জন্যও বলেছেন।’
COMMENTS