এম এ কবির, গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, গাজীপুর সিটির সড়কপথ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে জনগণ। গাজীপুর সিটির প্রায় ৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কাউলতিয়া এলাকা। জন্মের পর থেকে এ এলাকায় আমার জীবদ্বশায় তেমন ভালো কোন রাস্তাঘাট আগে দেখিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে এই এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এই এলাকার মানুষের যোগাযোগের সুবিধায় অনেক গুলো সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এসব সংযোগ সড়ক নির্মাণে সুফল পাচ্ছে এই এলাকার জনগণ। কাউলতিয়াকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে গড়ে তুলার জন্য ঘোষণা করেছি।
সোমবার ( ১৫ নভেম্বর) সকালে নিজ বাসভবনে গাজীপুর মহানগরীর কাউলতিয়া জোন প্রসঙ্গে গণকণ্ঠের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ড, ২০ নং ওয়ার্ড, ১৮ নং ওয়ার্ড ১৩ নং ওয়ার্ড ১৬ নং ওয়ার্ড এবং কাউলতিয়া পশ্চিম এলাকার মানুষ যাতে পূর্ব এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এবং প্রধান শহর জয়দেবপুরে উঠতে পারে তার জন্য ৪০ ফিট প্রশস্ত রাস্তা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। রাস্তাটি দ্রুত করার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি সহযোগিতার আহবান জানাচ্ছি। ঠিকাদার ও ইনঞ্জিনিয়ারদেরকে গুরুত্ব সহকারে যথাযথ সময়ের মধ্যে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনগণের সুবিধায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে এই রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মেয়র বলেন, এই এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত করার জন্য আন্তর্জাতিক মানের ৫টি হাই স্কুল করব। কলেজ এবং হাসপাতাল করব। প্রত্যোটি ওয়ার্ডে ১০ থেকে ২০ বিঘা জমিতে কবরস্থান করা হবে। সিটির সব রাস্তার সাথে সব রাস্তার যোগাযোগ থাকবে। ৬০ ফিট ৮০ ফিট রাস্তা করতে যাচ্ছি। ৪০ ফিটের উপড়ে যেসব রাস্তা হবে তা একোয়ার করে করব। যাতে মানুষের কোন ক্ষতি না হয়। গরীব মানুষের জন্য যতটুকু পারি রাজস্ব হতে অর্থ দান করব।
মেয়র বলেন, প্রায় ৩০ থেকে ৩২ হাজার বাড়িঘর সরিয়ে এসব রাস্তাঘাট করে দিচ্ছি। এই সব রাস্তা ব্যবহার করে অল্প সময়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উঠতে পারবেন। গ্রামকে শহর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
মেয়র বলেন, পরিকল্পিত শহর গড়তে চাই। পরিকল্পিতভাবে চলতে চাই। কাউলতিয়া দুটি অর্থনৈতিক জোনে ভাগ করব। এখানে দশ লাখ লোক কাজ করবে। কোন মানুষ গরীব থাকবে না। কোন সন্তান লেখাপড়ার বাইরে থাকবে না। কিছু লোক পার্সেনট্রেন্স পায় না বলে ষড়যন্ত্র করছে। বলেছি শহর করতেছি শহর করব! বয়স্করা যাতে স্বাস্থ্য সেবা পায় যুবকরা যাতে কাজ পায় সে লক্ষে কাজ করছি। কাউলতিয়াতে ৩৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছি। ময়লা আবর্জনাকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এটা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম।
মেয়র বলেন, নগরবাসীর চিকিৎসা নিশ্চিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে হাসপাতাল করতে যাচ্ছি। ১০ টি আন্তর্জাতিক মানের স্কুল করতে যাচ্ছি। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রায় ১ লাখ ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করতে পারবে। যাতে বিদেশে গিয়ে লেখাপড়া এবং চিকিৎসা করতে না হয়। জাপান এবং তুরস্কের সহযোগিতায় আমার তা করতে যাচ্ছি।
মেয়র বলেন, এই জন্মভূমি এই শহরকে এই শহরের মানুষকে আমি ভালোবাসি। তাই তাদেরকে একটা পরিকল্পিত শহর দিতে চাই। পৃথিবীর কোথাও নাই রাস্তা করার জন্য ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রায় ৮ হাজার বিঘা জায়গা দিয়েছে। এই শহর করার জন্য ৩২ হাজার ঘরবাড়ি দোকানপাট সরিয়ে দিয়েছেন। আমি গ্রিন এবং ক্লিন সিটি গড়তে সবার সহযোগিতা চাই। সুখে দুঃখে এক সাথে থাকতে চাই।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন স্বাধীনতার পর এই ৫০বছরে এই শহরের জন্য তারা কি কি করেছন? এই শহরেরকে একটি পরিকল্পিত বাসযোগ্য শহর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি সড়কে একা একা ঘুরেছি, মানুষের দুঃখ দুর্দষা দেখে কষ্ট পেয়েছি। সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় মন্ত্রনালয় সহ সিনিয়র নেত্রীবৃন্দের সহযোগিতায় ২১হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। সেটা দেখে কমিশনবাজদের মাথা নষ্ট হয়েগেছে এবং তারা আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ও সিটি কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কিন্তু তাতে আমার কিছু আসে যায় না। এই শহরের জন্য আমার যতটুকু ত্যাগ করার দরকার তা আমি করবো।
আপনারা খেয়াল রাখবেন ষড়যন্ত্রকারীরা যেনো কোনোভাবে এই শহরের কাজ গোলো ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। আমরা কোনো নেশাখোর চাঁদাবাজ অন্যায়কারীরকে জায়গা করে দেইনি।
COMMENTS