বহুল প্রতীক্ষিত টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর জংশন পর্যন্ত ডাবল লাইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত অংশের ১১ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী রেল যোগাযোগে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, নগরে মেট্রো রেলের পাশাপাশি পাতাল রেল উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি ২০৩০ সালে উদ্বোধন করা হলে নগরবাসি যানজটের দুর্ভোগ কমবে।
এ উপলক্ষে জয়দেবপুর রেল জংশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, নতুন তিনটি প্রকল্প উদ্বোধনের ফলে ট্রেন যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার লুপলাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার ও চারটি স্টেশন পুন:নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৮শ’ ৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এ কারণে প্রকল্প ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০৬ কোটি ৮০ লাখ টাকায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া-আসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন। কিন্তু এই দুই সেকশনের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে দুটি ডুয়েলগেজ লাইন ও একটি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে একটি ডুয়েলগেজ লাইন চালু রয়েছে। এ কারণে টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে চাহিদা থাকার পরও বেশি সংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাচ্ছিল না। তাই ঢাকা থেকে আরও ট্রেন চলাচল বাড়ানো, ভ্রমণের সময় সাশ্রয়, যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফ কন কল্পতরু এ ডাবল লাইনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।
এ বিষয়ে জয়দেবপুর রেলস্টেশনের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, সিঙ্গেল লাইন থাকার কারণে এতদিন অনেক সময় অন্য আন্ত:নগর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের জন্য জয়দেবপুর এবং ধীরাশ্রম স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন আর কোনো ট্রেনকে অন্য ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে না।
COMMENTS