ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তিনি একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিচার বিভাগে যোগদান করেন। এর পর ছিলেন দুদকের কমিশনার। তাঁকে দেশের পরবর্তী ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর মনোনয়নপত্র দাখিল করে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন প্রদান করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হন। তিনি ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সাহাবুদ্দিন কারাবরণ করেন।
তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এক পুত্রসন্তানের বাবা। তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এর জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
COMMENTS